Purulia Attack: “গেরুয়া রং দেখলেই রেগে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী”, পুরুলিয়াকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া সত্যেন্দ্রর

পুরুলিয়াকাণ্ডে তৃণমূল সরকারকে নিশানা সত্যেন্দ্রর, কী বললেন জানেন?...
satyendra_f
satyendra_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখনই গেরুয়া রং দেখেন, তখনই রেগে যান।” পুরুলিয়াকাণ্ডে (Purulia Attack) প্রতিক্রিয়া অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের। এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলার সরকারকে আক্রমণ শানান সত্যেন্দ্র।

আক্রান্ত সাধু

গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে পুরুলিয়ায় আক্রান্ত হন তিন সাধু। নাবালিকা অপহরণকারী বলে গুজব ছড়িয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলায় সাধু নিগ্রহের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় বিজেপি। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুসলমানদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল বলে কেউ তাঁকে নাম দিয়েছিল মুমতাজ খান। দেশের মধ্যে পশ্চিমবাংলায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত হন হিন্দুরা। রাম নবমী ও অন্যান্য ধর্মীয় মিছিলে হামলা হয়েছে।” তিনি বলেন, “যখনই মা দুর্গার পুজোর আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং মানুষ পুজো করতে যায়, তারপর সেই প্যান্ডেলগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়।”

কী বললেন সত্যেন্দ্র?

রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেন (Purulia Attack), “মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের হামলায় প্ররোচনা দেন। তিনি গেরুয়া রং দেখে রেগে যান এবং এই কারণেই তিনি এই আক্রমণগুলি ঘটান...এই ঘটনাগুলি অত্যন্ত নিন্দনীয়।” পুরুলিয়ার এই ঘটনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পালঘরের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। ২০২০ সালে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় দুই সন্ন্যাসীর। গণপ্রহারে জখম হয়েছিলেন তিনজন। সেক্ষেত্রেও সাধুদের বিরুদ্ধে শিশু চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। গড়চিঞ্চল গ্রামের ওই ঘটনায় মারের চোটে মৃত্যু হয় দুই সাধুর। জখম হলেও, পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন একজন।

আরও পড়ুুন: পুরুলিয়ায় সাধুদের গণপিটুনির ঘটনায় মমতা সরকারকে তুলোধনা বঙ্গ বিজেপির

পুরুলিয়ায় (Purulia Attack) সাধু নিগ্রহের কড়া সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। বাংলা সফরে এসে শনিবার তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষের ভালোর জন্য যে টাকা আসে, তা আত্মসাত করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির নামে বিখ্যাত। গরিব মানুষের উপকারের জন্য যে টাকা কেন্দ্র থেকে আসে, সেখান থেকেও কমিশন খাওয়ার চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি চরম সীমায়। যদি দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে ইডি টিমের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মারধর করা হয়। দুর্নীতিগ্রস্তদের (Purulia Attack) শেল্টার দেওয়ার কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles