মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফয়সালা হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। অযোধ্যায় রামের (Lord Ram) জন্মস্থানেই গড়ে উঠছে রামমন্দির (Ram Temple)। এক সময় ওই জায়গায় ছিল বাবরি মসজিস। সেই মসজিদ কমিটিকে অযোধ্যারই অন্যত্র জমি দেওয়া হয়েছে। রামের জন্মভূমিতে যেমন রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে, বাবরি মসজিদ কমিটিকে যেখানে জমি দেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে সেখানেও। এমতাবস্থায় আমরা পেরিয়ে এলাম আরও একটা ৬ ডিসেম্বর। এদিনই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ভারতকে বলেছে, রামমন্দির গড়া বন্ধ রাখতে। ওই জায়গায় তৈরি হোক বাবরি মসজিদ। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোকে ভাল চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। ভারতে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, ইসলামাবাদকে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
বাবরি মসজিদ...
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্তি দিবস। এদিনই ভারতকে মন্দির নির্মাণ বন্ধ রেখে ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ গড়ে তুলতে বলেছে পাকিস্তান। ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যে স্বধর্ম পালন করেন ইসলামাবাদকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কেবল তাই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় যে মন্দির এবং গুরুদ্বার ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে, সেকথাও শাহবাজ শরিফের সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরন্তর হুমকির মুখে পড়ছেন, সেকথাও বারংবার জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানে যাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভাল থাকেন, সেই বিষয়টি যেন পাক সরকার নিশ্চিত করে, এমন অনুরোধও করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে, জোরকদমে চলছে রামমন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ। মন্দির গড়ছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে চলছে মন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের নকসা ঘিরে উদ্যোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ধরনের পাথর এসে পৌঁছেছে রাম মন্দির নির্মাণর জন্য। মন্দিরের ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, ইতিমধ্যেই রামমন্দিরের গর্ভগৃহটি বিশেষ জ্যামিতিক আকারে তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, গর্ভগৃহটি এমনভাবে নির্মিত হবে যে প্রতি রামনবমীতে দুপুরে সূর্যের আলো এসে সরাসরি পড়বে রামলালার ওপরে। এও জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর থেকে বিশেষ বেলে পাথর নিয়ে এসে ওই গর্ভগৃহ তৈরি হবে। ৪.৭৫ কিউবিক ফুটের ওই বেলেপাথর দিয়েই তৈরি হবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মন্দিরের (Ram Temple) দরজা খুলে যাবে ভক্তদের জন্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours