Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

Kathamrita: “দুর্গাপূজার বেশ ব্যাখ্যা”……‘কথামৃত’ থেকে শুনুন সেই অমৃত বাণী
Ramakrishna_
Ramakrishna_

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —বল কি গো!

মণি—দুর্গাপূজার বেশ ব্যাখ্যা শুনেছি।

শ্রীরামকৃষ্ণ—কি বল দেখি।

মণি—কেশব সেনের বাড়িতে রোজ সকালে উপাসনা হয়,-- দশটা-এগারটা পর্যন্ত। সেই উপাসনার সময় তিনি দুর্গাপূজার ব্যাখা করেছিলেন। তিনি বললেন (Kathamrita), যদি মাকে পাওয়া যায়—যদি মা-দুর্গাকে কেউ হৃদয়মন্দিরে আনতে পারে—তাহলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন। লক্ষ্মী অর্থাৎ ঐশ্বর্য, সরস্বতী অর্থাৎ জ্ঞান, কার্তিক অর্থাৎ বিক্রম, গণেশ অর্থাৎ সিদ্ধি—এ-সব আপনি হয়ে যায়—মা যদি আসেন।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ

শ্রীযুক্ত ঠাকুর (Ramakrishna) সকল বিবরণ শুনিলেন ও মাঝে মাঝে কেশবের উপাসনা সমন্ধে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। অবশেষে বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি এখানে ওখানে যেও না—এইখানেই আসবে।

যারা অন্তরঙ্গ তারা কেবল এখানেই আসবে। নরেন্দ্র ভবনাথ রাখাল—এরা আমার অন্তরঙ্গ। এরা সামান্য নয়। তুমি এদের কদিন খাইও! নরেন্দ্রকে তোমার কিরূপ বোধ হয়?

মণি—আজ্ঞা, খুব ভাল।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেখ, নরেন্দ্রের কত গুণ—গাইতে, বাজাতে বিদ্যায়, আবার জিতেন্দ্রিয়, বলেছে বিয়ে করবে না—ছেলেবেলা থেকে ঈশ্বরেতে মন।

ঠাকুর মণির সহিত আবার কথা কহিতেছেন।

সাকার না নিরাকার—চিন্ময়ী মূর্তি ধ্যান—মাতৃধ্যান

শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার আজকাল ঈশ্বরচিন্তা কিরূপ (Kathamrita) হচ্ছে? তোমার সাকার ভাল লাগে—না নিরাকার?

মণি—আজ্ঞা, সাকারে এখন মন যায়ে না। আবার নিরাকারে কিন্তু মন স্থির করতে পারি না।

শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখলে? নিরাকারে একেবারে মনস্থির হয় না। প্রথম প্রথম সাকার তো বেশ।

মণি—মাটিতে এই সব মূর্তি চিন্তা করা?

শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন? চিন্ময়ী মূর্তি।

মণি—আজ্ঞা, তাহলেও তো হত-পা ভাবতে হবে? কিন্তু এও ভাবছি যে, প্রথমাবস্থায় রূপ চিন্তা না করলে মন স্থির হবে না—আপনি বলে দিয়েছেন। আচ্ছা তিনি তো নানারূপ ধরতে পারেন। নিজের মার রূপ কি ধ্যান করতে পারা যায়?

আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles