Ratan Tata’s Will: রতন টাটার ১০ হাজার কোটির উইলে পোষ্যর জন্যও টাকা, বাদ গেলেন না রাঁধুনি-পরিচারিকাও

Ratan Tata: ১০ হাজার কোটির মালিক রতন টাটার সম্পত্তির কত ভাগ কার নামে?
ratan-tata_(2)
ratan-tata_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা সাম্রাজ্যের একদা অধীশ্বর রতন টাটার কোনও সন্তান বা উত্তরা‌ধিকারী নেই। কিন্তু এই পার্সি ধনপতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। তাঁর মৃত্যুর পরে এই বিশাল সম্পত্তি কার হাতে উঠবে তা উইল করে আগে থেকেই ঠিক করে গিয়েছিলেন রতন। সেই উইল কার্যকর করার গুরুদায়িত্বও সঁপেছেন খুব ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের হাতেই। সম্প্রতি সেই ইচ্ছাপত্র প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতেই জানা গিয়েছে কার জন্য কী রেখে গিয়েছেন জামসেদজি টাটার উত্তরসূরি।

পোষ্যর যত্নের জন্য টাকা

রতনের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী, তাঁর প্রিয় পোষ্য টিটোর আজীবন ভরণপোষণের খরচ দেওয়া হবে এই সম্পত্তি থেকে। জার্মান শেফার্ড টিটোর আদর যত্নের যেন কোনও ত্রুটি না হয় তার সমস্ত বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে এই ইচ্ছাপত্রে। ৬ বছর আগে টিটোকে নিজের কাছে এনেছিলেন রতন। সেই থেকেই প্রায় তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠে টিটো। ‘টিটো’-র নামে সম্পত্তির অংশ রেখে রতন টাটার নির্দেশ, আজীবন তাঁর চিকিৎসার সমস্ত খরচ এবং অপরিমেয় যত্ন-আত্তিতে যেন কোনও অভাব না হয়। এর জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান দেবে 'টিটো'-র নামে থাকা রতন টাটার সম্পত্তির ওই অংশ।  রতন টাটার উইল অনুযায়ী, টিটোর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর দীর্ঘদিনের বাবুর্চি রাজন শাউকে।

সহযোগীদের জন্য রতন

শুধু পোষ্য নয়, দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা তাঁর যত্ন নিয়েছিলেন, তাঁদের কথা ভুলে যাননি তিনি। মনে রেখেছেন রাঁধুনি রাজনকে, পরিচারক সুব্বিয়াকে। মারা যাওয়ার আগে এঁদের নাম রতন ঘোষণা করে দিয়ে গিয়েছেন ইচ্ছাপত্রে। আর এক অসমবয়সি বন্ধুকেও ভুলতে পারেননি প্রয়াত এই শিল্পপতি। তিনি শান্তনু নাইডু। শেষ বয়সে রতনের সহচর ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রতন টাটার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন এই শান্তনু। শান্তনুর স্টার্টআপ সংস্থা ‘গুডফেলোজ’-এ অংশীদারিত্ব ছিল রতন টাটার। সেই অংশ যেমন ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনই শান্তনুর বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচের পুরোটাই রতন টাটা নিজের সম্পত্তি থেকে দিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ভিসার কোটা বছরে ৯০ হাজার করল জার্মানি

উইল বাস্তবায়নের দায়িত্ব

ভাই জিম্মি টাটার জন্য সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন রতন। ভাই জিম্মি ছাড়াও দুই সৎবোন শিরিন ও ডায়ানার জন্যও সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন তিনি। বাকি সম্পত্তি তিনি টাটা ফাউন্ডেশনের নামে করে দিয়েছেন। রতন টাটার উইল বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর সৎবোন শিরিন এবং ডায়ানা জিজিবয়, আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেহলি মিস্ত্রিকে। রতন টাটার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন ছিলেন মেহলি। সম্পর্কে মেহলি আবার সাইরাস মিস্ত্রির তুতো বোন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles