মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। এর পরবর্তীকালে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর প্রত্যেককেই যা বয়ান দিয়েছে তাতে মিলেছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তনী সপ্তককে নিয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ মেন হস্টেলে আসে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর সপ্তককে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর থানায়।
এখনও পর্যন্ত স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। এদের প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি মেলায় প্রত্যেককেই আলাদাভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের, এমনটাই সূত্রের খবর। স্বপ্নদীপকে (JU Student Death) কোথায় ইন্ট্রো নেওয়া হয়েছিল, কোন ঘরে তাকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল, চিঠি কে লিখেছিল, তখন কে কোথায় ছিল, এসব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত এসব ছেলেরা।
গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি
গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি (JU Student Death) থাকায় তাদেরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করে নিতে চাইছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার পরবর্তীকালে গ্রেফতার হয় দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। এরপর গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা অসিত সরকার, সুমন নস্কর, পূর্ব মেদিনীপুরের সপ্তক কামিল্যা নামের এক প্রাক্তনী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আরিফ, পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আফজাল আনসারি, উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অঙ্কন সরকার।
তদন্তের খুঁটিনাটি
জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় মেন হোস্টেল থেকে দুটি ডায়রি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১০ অগাস্ট হস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে প্রথম ডাইরি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করে একটি চিঠির বিষয়ে সামনে আসে। গত ১২ অগাস্ট রাতে ১০৪ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় দ্বিতীয় ডায়েরি। ডায়েরির ১৫১ নম্বর পাতায় ওই চিঠি পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৯ অগাস্ট রাত্রি নটার পর ওই ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। সেখানে তাকে দিয়ে চিঠি লেখানোর পরিকল্পনা করেছিল সৌরভ এবং সপ্তক। এরা দুজনই প্রাক্তনী। সৌরভ অবশ্য পুলিশের কাছে দাবী করেছে যে চিঠি লেখার সময় সে নাকি ছিল না। দীপশেখরের দাবি, চিঠিটি তার নিজের লেখা। এসব কিছুই তদন্ত করছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours