মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীর সকাল থেকে আন্দোলন আরও জোরদার করার কথা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Incident)। তাঁদের অন্যতম দাবি, স্বাস্থ্য সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি, তাই তাঁদের আমরণ অনশন চলবে। অন্যদিকে, পুজোর শহরে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মণ্ডপে গিয়ে বিচারের দাবি তুলে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর জন্য ৯জনকে আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে লালবাজার অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Doctor’s Protest)।
খারাপ হচ্ছে ডাক্তারদের শরীর
স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের (RG Kar Incident) সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠক শেষ করে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ফিরে সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁদের দাবিগুলি মেনে নিতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই, তাই তাঁরাও অনশন চালাবে। অনশনের ১০৯ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ক্রমেই দুর্বল হতে শুরু করেছে ডাক্তারদের শরীর। ইতিমধ্যেই ডাক্তার (Doctor’s Protest) অনুষ্টুপকে হুইল চেয়ারে নিয়ে যেতে হয়েছে। ডাক্তার তনয়া ও সায়ন্তনীর শরীরও ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! রতন টাটার প্রয়াণে শোক বার্তা সচিন, সলমন, রোহিত-নীরজদের
পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ তাই গ্রেফতার
অন্যদিকে, বুধবার ‘অভয়া পরিক্রমা’ কর্মসূচি ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Incident)। কর্মসূচি হল— মিনিডোরে করে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার ‘প্রতীকী মূর্তি’ নিয়ে পুজোমণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। সেই কর্মসূচি পালন করতেই ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা (Doctor’s Protest)। ঘটনাচক্রে, ওই পুজো তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের বলেই পরিচিত। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই অভিযোগেই তাঁদের আটক করে লালবাজারের পথে রওনা দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে ধর্মতলা থেকে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি দল। যোগ দেন বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষও। তাঁদের আটকাতে ঘিরে ফেলা হয় লালবাজার। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বসানো হয় ব্যারিকেড। সপ্তমীর সকালেও লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে অবস্থানে বসে থাকেন বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবি, পুজো মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ন’জনকে অবিলম্বে ছাড়তে হবে। আটক ন’জনকে ছাড়া না-হলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours