Sandeep Ghosh: মরদেহ লোপাট থেকে অবৈধ নিয়োগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?

RG Kar Issue: প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, কী না করেছেন তিনি! 
RG_Kar_Hospital
RG_Kar_Hospital

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Issue) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) ভূমিকা আতস কাচের তলায়। প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে হাসপাতালের মৃতদেহ লোপাট করার মতো মারাত্মক অভিযোগও। মর্গের রেজিস্টার গুম করে দিয়েছেন তিনি, ভেঙেছেন সরকারি নিয়ম, এক বছর আগে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। পেশাগত অনিয়মের কারণে বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হওয়ার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে চেম্বারে প্রবেশ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ 

অধ্যক্ষ থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়েরও একাধিক অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, কোভিডের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হিসেব দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই যন্ত্রের তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ নাকি টেন্ডারের ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandeep Ghosh) করতেন অবৈধ নিয়োগ

হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অবৈধ ভাবে ইন্টার্ন নিয়োগের অভিযোগও শাসক দল ঘনিষ্ঠ এই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে প্রভাশালী সন্দীপ বদলি হলেও বারবার ফিরে আসেন আরজি করে। অনেকে বলেন, স্বাস্থ্য ভবন তো আসলে সন্দীপেরই সাম্রাজ্য। একবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, জাদুবলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি ফের ফিরে আসেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবার বদলি হন উলুবেড়িয়াতে। সে বার ফিরতে সময় নিয়েছিলেন ২১ দিন। আরজি করে ডাক্তার ছাত্রীর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তো উঠেছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের কর্তব্যে গাফিলতি এবং তা আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে প্রভাশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নোটিশ পাঠায় ক্যাগ

অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও গরমিল ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) নোটিশ পাঠায় ক্যাগ। কিন্তু কোনওবারই জবাব দেননি সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যের জিএসটির নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল ক্যাগের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে আরজি করে (RG Kar Issue) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালেরই এক প্রাক্তন পদাধিকারী। বুধবার আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

 


দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles