মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাহজাহান বাহিনীর দাপটে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এমন অনেক অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালিবাসী। শাহজাহান ও তাঁর টিমের বহু সদস্য এখন গারদে রয়েছেন। তবে, এখনও অনেকে এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে, এখনও আতঙ্ক কাটেনি সন্দেশখালিবাসীর। এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালির মাটিতে এসে পৌঁচ্ছাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালি জুড়ে তারা টহল দেবে বলে জানা গিয়েছে।
শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল (Sandeshkhali)
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে রামপুরের হাটখোলা, তারপর বিদ্যাধরীর ওপারে জেলিয়াখালিতে টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা। এর মধ্যে বারাসত- বনগাঁয় তিন কোম্পানি করে, বারাকপুরে ছয় কোম্পানি, বসিরহাটে পাঁচ কোম্পানি, বিধাননগরে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানানো হয়েছে। বনগাঁ থানার মণিগ্রাম, গাইঘাটা থানার জলেশ্বর, গোপালনগর থানার গোপালনগর বাজার এলাকা, বাগদা থানার বাজিতপুর, করঙ্গ, পেট্রাপোল থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছে। হাবড়ার পৃথিবা, আমডাঙা, দত্তপুকুর ও দেগঙ্গা থানা এলাকারও বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরেছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বললেন সন্দেশখালিবাসী?
রবিবার বসিরহাটের ভ্যাবলায় রুটমার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার থেকে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রুট মার্চ শুরু করল বাহিনী। টহল দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টহল দিতে দেখে ভরসা পাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহান বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত। এখন সব উধাও। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট পর্যন্ত থাকলে আমরা ভোচ বাক্সে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় এলাকায় গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। সকলকে অভয় দিচ্ছেন। সন্দেশখালির মাটিতে এসব দেখে মনে অনেকটাই সাহস লাগছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours