Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

Jalpaiguri: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অভূতপূর্ব যোগদান বিজেপি-তে
Jalpaiguri
Jalpaiguri

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাল (Jalpaiguri), রাজগঞ্জ এবং ধূপগুড়ি ব্লকের অনেকেই তৃণমূল ছাড়লেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলিতে বড় চমকের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রীনা বরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। আবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার সহ শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে ফিরলেন। একই সঙ্গে ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। জলপাইগুড়ি জেলায় সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক এবং অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জেলার রাজনীতি বেশ সরগরম।

জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেন তৃণমূল ছাড়লেন?

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত (Jalpaiguri) সমিতির জন্য দলের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে গত সোমবার সরাসরি এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীনা বরা বলেন, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, অনশন-ধর্নায় বসেছিলাম, দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে সুশীল প্রসাদকে সরিয়ে দিলেও আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! বিচার না পেয়ে আমি তৃণমূল ছেড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৫ টি পরিবারের বিজেপিতে যোগদান

ধূপগুড়ি ব্লকের (Jalpaiguri) ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এদিনই তৃণমূল দল ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায়। তাঁর সঙ্গে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান হিসেবে রঞ্জিতা রায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে শিকারপুর অঞ্চলে। আর যার কারণে সোমবার তিনি তৃণমূল দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন

পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন মেটেলি (Jalpaiguri) বাজারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মেটেলি বাজার হাটখোলায় ওই যোগদান সভা হয়। মেটেলি বাজারের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মাহাতো, ইনডং মাটিয়ালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মনোজ মন্ডল, তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজেন লোহার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এদিন বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেন বলে জানা গেছে।

খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লিতে শতাধিক 'ঘর ওয়াপসি'

জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার, তাঁর স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ শতাধিক মানুষ বিজেপিতে ফিরলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন অঞ্জলি সরকার। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ সেই চাপ দূরে সরিয়ে রেখে অনুগামীদের নিয়ে ঘর ওয়াপসি করলেন তাঁরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ, জীবেশ দাস, অলীক দত্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অভূতপূর্ব যোগদানে এই জেলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles