Brazilian Model: ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ব্রাজিলীয় লাস্যময়ী মডেল, জানুন তাঁর আরেক পরিচয়

কয়েক সপ্তাহ আগেই, তিনি ডগলাস বুরিগো নামে ব্রাজিল সেনার এক প্রাক্তন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে, ব্রাজিল থেকে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন।
Brazilian_Model
Brazilian_Model

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন লাস্যময়ী মডেল (Brazilian Model)। পরবর্তীতে হাতে তুলে নেন বন্দুক। গত মাসে রাশিয়ার হামলায় (Russia-Ukrain War) নিহত ব্রাজিলীয় মডেল তথা স্নাইপার (Sniper) থালিতো দো ভ্যালে (Thalito do Valle)। হাতে সর্বদা অস্ত্র থাকলেও, মন থেকে চাইতেন শান্তি। আর, সেই কারণেই সারা বিশ্ব জুড়ে মানব কল্যাণের বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। এর আগে, ইরাকে আইএসআইএস-এর বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলীয় মডেল। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরও তিনি একই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ছুটে গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। কে জানত এই লড়াইই তাঁর শেষ লড়াই! সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ।  

আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের       

এক সময় ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল ছিলেন থালিতো দো ভ্যালে। পরে মডেলিং ছেড়ে বিভিন্ন মানবতাবাদী কাজে লিপ্ত হন। কয়েক সপ্তাহ আগেই, তিনি ডগলাস বুরিগো নামে ব্রাজিল সেনার এক প্রাক্তন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে, ব্রাজিল থেকে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনের ওপর রুশ বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ইউটিউব এবং টিকটকে তাঁদের ইউক্রেন যাত্রার ভিডিয়োও পোস্ট করছিলেন। এরপর,  ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁরাও রুশ বাহিনীকে পরাস্ত করার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। বিশেষ করে থালিতো তাঁর স্নাইপার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু, গত মাসের শেষেই খারকিভ শহরের যুদ্ধে তাঁদের দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই থালিতো এবং ডগলাস খারকিভে এসেছিলেন। শহরের একটি বাঙ্কারে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে সেই বাঙ্কারটিই ধ্বংস হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের লাভিভে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রেল লাইনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার     

অত্যন্ত দক্ষ স্নাইপার হিসেবে পরিচিত ছিলেন থালিতো। স্নাইপারের প্রশিক্ষণ তিনি পেয়েছিলেন ইরাকে। ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আগেও, তাঁর যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল। ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাদের হয়ে লড়াই করেছিলেন এই মডেল। কুর্দিস্তান এলাকার সশস্ত্র যোদ্ধা বাহিনী ‘পেশমারগাস’-এ যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই বাহিনীর কমান্ডাররাই থালিতোকে স্নাইপারের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর স্নাইপার চালনায় সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে পশু উদ্ধারের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন।  

ইউক্রেন যুদ্ধে তাঁর অভিজ্ঞতা একটি ইউটিউব চ্যানেলে নথিভুক্ত করছিলেন থালিতো। একজন লেখককেও জানিয়েছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। একটি বই প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিলে আছে থালিতোর ভাই। দিদি তাঁর কাছে ‘নায়ক'। দিদির মৃত্যুর পর তিনি বলেছেন, "থালিতো বরাবর মানবতাবাদী যে কোনও অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। অসহায় মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে এগিয়ে যেতে দুবার ভাবতেন না। খারকিভে পৌঁছনোর পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে থালিতোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে, ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফোন করতে ভয় পেতেন থালিতো। তাঁর মনে হত রুশ সেনাবাহিনী ফোনে আড়ি পাতছে।"  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles