Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

সিবিআই-এর জেরায় কী জানালেন শাহজাহান?
shahjahan_f
shahjahan_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তল্লাশি অভিযানের সময় গত জানুয়ারিতে ইডির ওপর হামলা! অবশেষে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বয়ান দাখিল করে সিবিআই। শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়ি সমেত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই ধৃত নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যোগ করল সিবিআই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়, তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের সুবিধার্থে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

জেরায় কী জানাল শাহজাহান?

বগটুইকাণ্ডে যেমনটা হয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তেও থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সরবেড়িয়া থেকে সিবিআই আলি গাজি নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডিকে ভয় পেয়েই শাহজাহান এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সিবিআই-এর জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন শাহজাহান। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, সরবেড়িয়ার বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিনই মর্নিং ওয়াকে বের হন। সেইমতো তিনি ৫ জানুয়ারিও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ইডি এসেছে শুনে এবং ইডির ফোন পেয়েই তিনি ভয় পেয়ে যান। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, এই ভয়েই তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।

মঙ্গলবারই তদন্তভার নেয় সিবিআই

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত বুধবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে একটি এফআইআর হয় ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। বাকি দু’টির মধ্যে একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অন্যটি রেশন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে। প্রথমে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করা না হলেও তা শুক্রবারই যুক্ত করেছে সিবিআই।

বুধবার থেকে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

এর আগে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি ধারায় মামলা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলাগুলিতে ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টা ইত্যাদি রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হয় রাজ্য পুলিশের হাতে। বসিরহাট কোর্ট তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles