Sandeshkhali: ‘শাহজাহান-কর’ দিতে না পেরে ইটভাটা বিক্রি করেন একাধিক মালিক, আদালতে দাবি ইডির

Sheikh Shahjahan: ইট ভাটার কয়লা পাচারেও শাহজাহানের নাম…  
Sandeshkhali_(1)
Sandeshkhali_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের তৃণমূল দল লোকসভার ভোটে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও, এখনও গলার কাঁটা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তিনি নাকি এলাকায় ‘শাহজাহান-কর’ চাপিয়েছিলেন। ইটভাটার মালিকদের উপর এই করের জুলুমবাজির জন্য বাধ্য হয়ে ভাটা বিক্রি করতে হয়েছে। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে আদালতে। বসিরহাটে শাসক দল তৃণমূল জয়ী হলেও, তৃণমূল নেতার এই কয়লা পাচারের তথ্য রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল ফেলেদিয়েছে।

ইটভাটা মালিকের বক্তব্য (Sandeshkhali)

সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অনেক ইটভাটার মালিক ইডির অফিসারদের কাছে তোলাবাজির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এক ভাটার মালিক জানিয়েছেন, “দাদার হুকুম মেনে ওঁদের কাছ থেকেই কয়লা কিনতে হতো।” প্রত্যেক ইটভাটার মালিকদের এই কর দিতে হতো। ভাটা চালাতে গেলে যে কয়লা লাগে, তা বলপূর্বক কিনতে হতো এই তৃণমূল নেতার কাছ থেকেই। এমনকী দাম বেশি দিয়ে খারাপ মানের কয়লাকেই ব্যবহার করতে হতো ভাটায়। এই ভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকায় করের বোঝায় ইটভাটা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ঠিক এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিন্তু রাজ্যের কয়লা পাচার মামলায় শাহজাহানের কথা না উঠে আসলেও এইবার কয়লা দুর্নীতিতে তাঁর নামের সূত্র পাওয়া গিয়েছে।

ইডির দাবি

ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহানের হুকুম মানতে বাধ্য হতেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ও ন্যাজাটের ২৯টি ইটভাটা মালিকেরা। ইট ভাটার ব্যবসায় প্রচুর কয়লা লাগে। তাই কয়লার জোগানে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন শাহজাহান। ইটভাটার মালিক রামালিক বার বার ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং আরও অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। ভাটার মালিকদের প্রতি টন পিছু ২-৩ হাজার টাকা শাহজাহানকে দিতে হতো। কিন্তু এই বিরাট খরচের বোঝা বহন না করতে পেরে ধামখালির দুটি ইটভাটার মালিক নিজেদের ভাটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

বিজেপির বক্তব্য

সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেতা বিকাশ সিং বলেন, “আমরা অনেকবার বলে এসেছি, শেখ শাহজাহান অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ইডির তদন্তে সেগুলিই উঠে আসছে। ২০১৬ সাল থেকে কয়লার কারবারের দিকে চোখ ছিল তাঁর।“

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles