মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারির তিন দিনের মাথায় দিল্লি থেকে কলকাতা এলেন ইডি (ED) প্রধান সঞ্জয় মিশ্র। তবে কি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি নতুন মোড় এনে দিল? বড় কোনও রাঘববোয়ালের সন্ধানে এবার ইডি? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখেন ইডি প্রধান (ED)
প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বর মাসেই ইডি প্রধান হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য দায়িত্ব নেন সঞ্জয় মিশ্র। জানা গেছে, আরও এক বছরের জন্য তাঁর দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক হতে পারে তাঁর! বাকি যে তদন্তগুলি চলছে সেগুলির বিষয়ে খোঁজখবর এবং রিপোর্ট নেবেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির পরপরই ইডি প্রধানের আগমন কি নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথার সন্ধানে? রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ভাবছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কুড়মিরা
নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্র কালীঘাটের কাকু?
কালীঘাটের কাকু যেন নিয়োগ দুর্নীতির নিউক্লিয়াস। ইডির দাবি, তদন্তকে বিপথে চালিত করতে নানা মিথ্যা তত্ত্ব সামনে এনেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি বলেছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর কোনও রকমের যোগাযোগ নেই এবং ২০২১ সালের আগে নাকি তিনি প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতিকে চিনতেন না! কিন্তু ইডি (ED) যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেও নিয়মিত কথাবার্তা চলত মানিক ভট্টাচার্য এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মধ্যে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তেমনি যারা চাকরি পাইয়ে দিত, সেই দালালদের সঙ্গেও ওঠাবসা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু। কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতেও তাঁর নাম মিলেছে। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সংস্থা দেখভাল করেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির পরে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি, চুনোপুঁটিদের নয়, একেবারে রাঘববোয়ালকেই ধরতে হবে। তবে কি কোনও রাঘববোয়ালকে ধরতেই শহরে তড়িঘড়ি আগমন হল ইডি প্রধানের? এর উত্তর আগামী দিনেই বোঝা যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours