Santipur: শান্তিপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি! রক্ত ঝরল অধ্যাপকের

Trinamool Congress: কলেজে ঢুকে প্রকাশ্যে অধ্যাপককে বেধড়ক মার, দাপট দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
Santipur
Santipur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদাগিরি। কাজের বরাত না পাওয়ায় শুক্রবার রক্ত ঝরল অধ্যাপকের! শিক্ষাঙ্গনে চরম নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) কলেজ। আক্রান্ত অধ্যাপকের নাম রামকৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কলেজের স্টাফরুমে আক্রান্ত অধ্যাপক বসেছিলেন। এরপর কয়েকজন ছাত্র এবং সঙ্গে বহিরাগতরা এসে অধ্যাপককে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলেন। অধ্যাপক বাইরে বের হতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের কারণে তাঁর মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। অন্যদিকে, হামলাকারীদের বক্তব্য, "অধ্যাপক লাইব্রেরির মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীর হাত ধরে টানেন। তাকে কুপ্রস্তাব দেন।" অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে হামলাকারীরা বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রীও ছিলেন। তিনি বলেন, আমাকে অধ্যাপক হাত ধরে টেনেছেন। কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর আমি শাস্তি চাই। কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।

আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

আক্রান্ত অধ্যাপক কী বললেন?

আক্রান্ত অধ্যাপক বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। আসলে, সম্প্রতি কলেজের পাঁচিল তৈরির জন্য কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা শান্তিপুরের (Santipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর নির্দেশে আমি ওই কাজ দেখাশোনা করতাম। এরজন্য প্রায়ই আমার কাছে ছাত্রদের কয়েকজন এবং বহিরাগত কয়েকজন দুষ্কৃতী তোলা চাইত। তোলা না দিলে হুমকি দিত। একইসঙ্গে আমাকে কলেজে  কাজ চাইত। ই টেন্ডারের মাধ্যমে কলেজে সব কাজ হচ্ছে। ওরা কাজ পায়নি। তাই, আমার ওপর রাগ। এমনকী বাড়িতে গিয়েও পর্যন্ত হুমকি দিয়ে আসে। এদিনও একই দাবিতে তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে কলেজের মধ্যেই। এমনকী কলেজ কর্মচারীরা প্রতিবাদ করতে গেলেও তাদের মধ্য থেকেও একজনকে মারধর করা হয়। আমাকেও ওরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

শান্তিপুর (Santipur) কলেজের অধ্যক্ষ শুচিস্মিতা সান্যাল বলেন, একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমি বিশ্বাস করি না। আর এদিন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই অধ্যাপক লাইব্রেরিতে যাননি। তিনি স্টাফ রুমে বসেছিলেন। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে এবং থানায় জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এক্ষেত্রে শান্তিপুর কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের কী নিয়ে সমস্যা তা জানি না। তবে,তোলাবাজির কোনও বিষয় নয়, কারণ টেন্ডার দেখাশোনা করে অন্য একটি কমিটি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। যদি অধ্যাপক দোষী হয়ে থাকে, তাহলে তিনি শাস্তি পাবেন। আর যদি ছাত্ররা অপরাধ করে থাকে তারা শাস্তি পাবে। এক্ষেত্রে আমার আলাদাভাবে কিছু বলার নেই।

বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

এই ঘটনার নিন্দা জানান শান্তিপুর (Santipur) বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত বৈরাগী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র শান্তিপুর কলেজ নয় রাজ্যের প্রতিটি কলেজে তৃণমূল এই নোংরা রাজনীতি করছে। এরা অধ্যাপক, শিক্ষক কাউকে মানে না। নিজেদের স্বার্থে আঘাত পড়লে হিংস্র পশুর মত আচরণ করে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles