Sea Beach: হারিয়ে যাচ্ছে তাজপুরের অনাবিল নির্জনতা, যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে হোটেল, রিসর্ট!

তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে সেই ঝাউ আর কেয়া গাছের আধিক্য কোথায়?
Sea_Beach
Sea_Beach

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দশ বা পনেরো বছর আগেও বহু মানুষ সেভাবে জানতেন না যে সি-বিচটির (Sea Beach) বিষয়ে, আজ সেই সমুদ্র সৈকত পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। হ্যাঁ, এই উপকূল পর্যটন কেন্দ্রটির নাম "তাজপুর"। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক ছোট্ট অঞ্চল এই তাজপুর। বিস্তীর্ণ সোনালী বালুকাবেলা, সেই বালুকাবেলা জুড়ে লাল কাঁকড়ার খেলা করা, ঝাউগাছের আকাশ ছুঁতে চাওয়ার দুঃসহ প্রচেষ্টা, মাথার ওপর নীল আকাশ, আর বঙ্গোপসাগরের উর্মিল হাতছানি-এই সব নিয়েই তাজপুরের সংসার। পূর্ণিমা রাতে যখন সাগরের নীল জলের ওপর চাঁদের রুপোলি আলো এসে পড়ে, তখন এক অদ্ভুত ঘোর লাগে মনে। সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের রক্তিম আভা তাজপুরকে করে তোলে আরও মোহময়ী, আরও সুন্দর। তখন প্রকৃতি প্রেমিক হৃদয় নিজের অজান্তেই কখন যেন গেয়ে ওঠে, "কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, মনে মনে"।

প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট (Sea Beach)

যদিও এই মুহূর্তে তাজপুরের সেই অনাবিল নির্জনতা আর নেই। অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে সেই ঝাউ আর কেয়া গাছের আধিক্য। এখন আর সাগরের বালুকাবেলায় খেলা করা লাল কাঁকড়ার দল সেই পরিমাণে দেখা যায় না, প্রকৃতি আর পরিবেশ নষ্ট করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে একাধিক হোটেল, রিসর্ট। একদম বিচের ওপর একাধিক খাওয়ার ও থাকার হোটেল। তাতে প্রকৃতির ভারসাম্যটাই নষ্ট হতে চলেছে। তবু দু'দিন ছুটি কাটাতে তাজপুর এক অন্যতম সেরা স্থান (Sea Beach) হতেই পারে। তাজপুরের মোহনায় একটি ছোট নদী এসে মিশেছে সমুদ্রের সঙ্গে। নদীর ওপারেই আর এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণি। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে তাজপুর থেকে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় এই মন্দারমণি এবং শঙ্করপুরও।

যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া (Sea Beach)

কলকাতা থেকে দিঘাগামী যে কোনও বাসে এসে নামতে হবে দিঘা-শঙ্করপুরের আগে বালিসাই স্টপেজে। এখান থেকে মাত্র চার-পাঁচ কিমি দূরে তাজপুর (Sea Beach)। যেতে হবে অটো বা টোটোতে। আর ট্রেনে গেলে দিঘাগামী ট্রেনে এসে নামতে হবে রামনগর ষ্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি বা অটোরিকশাতে আসতে হবে তাজপুর। থাকা এবং খাওয়ার জন্য এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট। এগুলির প্রায় সবকটিতেই থাকার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ারও ব্যবস্থা আছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles