মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। উচ্চ আশা, লক্ষ্য স্থির থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে পরিশ্রমই শেষ কথা। আর লাগে মনের জোর। আবারও তা প্রমাণ করলেন তেলঙ্গানার ২৯ বছরের ছেলে আকুনুরি নরেশ (Akunuri Naresh)। মা, কারখানায় জমাদারের কাজ করেন, বাবা দিনমজুরের আর ছেলে হতে চলেছেন আইএএস অফিসার।
আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও
তেলঙ্গানার কাশিমপল্লী গ্রামে (Kashimpally village) জন্ম। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। আর্থিক অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। বাবা আইলাহ দিনমজুরের কাজ করেন, মা স্থানীয় কারখানায় জমাদারের কাজ করতেন। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল নরেশের। লেখাপড়া চলত হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেই। কষ্ট করেই স্কুলের গণ্ডি পার করে সে। দ্বাদশ শ্রেণির ফল ভাল হওয়ায় স্কলারশিপ নিয়ে মাদ্রাজ আইআইটিতে ভর্তি হয়। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৫ সালে সেখান থেকে আইআইটি পাশ করেন।
এরপর চেন্নাইয়ের সিটি ব্যাঙ্কে উচ্চপদস্থ পদে চাকরি পান নরেশ। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই আইএএস পরীক্ষার কোচিং নেন। প্রথমবার ২০১৭ সালে আইএএস পরীক্ষায় বসেন। ২০১৯ সালে ৭৮২ নম্বরে ছিল তাঁর নাম। ২০২১ সালে পঞ্চমবার পরীক্ষা (UPSC 2021) দিলেন। এবার ১১৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়ে খুশি নরেশ। আইএএস (IAS) না হলেও আইপিএস (IPS) নিশ্চিত। সম্পূর্ণ হয় সাধারণ ছেলের অসাধারণ কাহিনি।
আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা
নরেশ বলেন, "বাবা-মা কোনওদিন তাঁকে জোড় করেননি। পড়াশোনা করে যেতে বলেছেন। আর্থিক অনটন দূর করতে একটা চাকরির উপরেও ভরসা করতে বলেননি। তাই এই কৃতিত্ব তাঁদের।" বাবা-মায়ের সঙ্গেই পাশে পেয়েছেন স্ত্রীকেও জানান নরেশ। দাদা সুরেশ সরকারি দফতরে উচ্চপদে কর্মরত। কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনা করছেন তিনিও। তাই দাদা ছিল নরেশের প্রেরণা। এবার গরিবদের জন্য, পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বার্থে কাজ করতে চান বলে জানান নরেশ। ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা। বাবা, আইলাহ বলেন, "ওর লড়াই সফল হল। আমরা খুশি।"
+ There are no comments
Add yours