Abhijit Ganguly: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

‘‘ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল, ছিল ডিম হল প্যাঁকপ্যাঁকে হাঁস...’’
justice_abhijit_ganguly_calcutta_hc
justice_abhijit_ganguly_calcutta_hc

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Abhijit Ganguly) আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল। কমিশন পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, নবম-দশমে ভুয়ো চাকরির সুপারিশ ১৮৩টি। এবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই- এর দেওয়া অন্যতম নথি, কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনতে চায় আদালত। 

কী দেখা যাচ্ছে ওএমআর শিটে?  

দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় ওএমআর শিটে ৭ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরীক্ষার্থী (Abhijit Ganguly)। যার মধ্যে সঠিক উত্তর ৫ টি। এসএসসি মেধাতালিকায় পরীক্ষার্থী মাম্পি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। ৪৮ নম্বর কারচুপি করে বাড়িয়ে ওয়েটিং লিস্টে ২১ নম্বরে ছিলেন মাম্পি। পরবর্তীতে নিয়োগও হয় তাঁর।"

এই নজিরবিহীন কারচুপির কথা জেনে, বুধবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেন, "ছিলো রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। পুরো হযবরল! ছিলো ডিম হল প্যাঁকপেঁকে হাঁস।"

আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি
 
আর এরপরেই নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআইয়ের দেওয়া কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত (Abhijit Ganguly)। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, "এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হোক এই ৪০ ওএমআর শিট। নিজেদের সই ও খাতা দেখে মিলিয়ে নিক চাকরিপ্রাপকরা।"

আজ, বৃহস্পতিবার জানা যাবে ওএমআর শিট নিয়ে আদতে কী সিদ্ধান্ত নিল আদালত (Abhijit Ganguly)। আজ ফের এই মামলার শুনানি। ৯৫২ ওএমআর শিটে কারচুপি ধরা পড়েছে। কারচুপি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এদের মধ্যে ৭৯৬ জন ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ১৫৬ জন রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরও তথ্য পেশ করতে পারে সিবিআই। 

এদিকে গতকাল আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি (Abhijit Ganguly) টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, পার্থ-অর্পিতার (Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles