CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

বিকাশ ভবনে একসময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন চারজন।
CBI
CBI

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে দুর্নীতির নতুন অধ্যায়। যেন রামায়ণ কাহিনী। এর শেষ কোথায় কেউ জানেন না। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের। এই মামলায় একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও (Kalyanmay Ganguly)। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই চারজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র  
 
বিকাশ ভবনে একসময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন চারজন। ফের একসঙ্গে হবেন তাঁরা। কিন্তু এবার নিজাম প্যালেসে। শিক্ষা দফতর থেকে সোজা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। সোমবার নিজাম প্যালেসে একে-একে রাত কাটালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ানম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যককে পৃথক-পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার হন এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে। এসপি সিনহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুনীর্তিতে সিবিআই-এর জালে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসপি সিনহা দুটি মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম...’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

সিবিআই সূত্রে খবর, এবার শিক্ষা দফতরের এই প্রাক্তনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। কারণ তিনজনকে পৃথকভাবে জেরা করে তেমন লাভ হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনজনই অপর জনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন। সেই কারণে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে সেটা করতে পারবেন না তাঁরা বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার করা হবে অডিয়ো বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং। পরে তা মিলিয়ে দেখা হবে পুরনো বয়ানের সঙ্গে।   

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles