মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ দিনে পেরোলো এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন (SSC Protest)। প্রায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। ঘর-পরিজন ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে শুধু বেঁচে থাকার লড়াই। নিজের ন্যায্য পাওনাটুকু বুঝে নেওয়ার লড়াই। এই দাবি থেকে চাকরি প্রার্থীদের একচুলও সরাতে পারেনি রাজ্যের সরকার। প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনকারীরা গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিয়েই চলেছেন ‘নিয়োগ চাই, নিয়োগ চাই’ বলে। কিন্তু সে স্লোগান কান অবধি পৌছচ্ছে না নবান্নের। আদৌ তাঁদের এই দাবি পূরণ হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা। তবুও থামেনি আন্দোলন।
শুক্রবার ৬০০ দিনে পা রেখেছে কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। আন্দোলনের মাঝে চাকরি প্রার্থীদের বৈঠক হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বৈঠক হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। চাকরির আশ্বাস মিললেও হাতে আসেনি নিয়োগপত্র। আক্ষেপ চাকরি প্রার্থীদের। আন্দোলন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যুবক যুবতী। কিন্তু আজও কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর
এদিকে সোমবার আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। গুরুনানক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, রেড রোডে পুজো কার্নিভালের সময়ও এইরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেইসময় আন্দোলন থেকে বিরত ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চাকরি প্রার্থীদের ধর্না নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার আইনজীবী রামপ্রসাদ সরকার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাকারীর দাবি, কখনও গান্ধীমূর্তি, কখনও ক্যামাক স্ট্রিট, কখনও রেড রোড ধর্না চলছে। তাঁরা যদি যোগ্য চাকরিপ্রার্থী হন তাহলে আদালতে আসছেন না কেন? এভাবে ধর্না দিয়ে, অনশন করে চাকরি পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক পদে রয়েছেন বলেই চাকরি দেওয়া তাঁর দায়িত্ব না। রামপ্রসাদ সরকার বলেন, "কলকাতাকে আন্দোলনের ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আদালতের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours