মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়া ও সিক্ল সেল অ্যানিমিয়া— এই দুই রক্তের রোগে আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত স্তরের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের ওই রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। গর্ভবতী হওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে হলে এবার থেকে থ্যালাসেমিয়া ও সিকল সেল রোগের পরীক্ষা করাতেই হবে।
নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষার সময় এই দুটি পরীক্ষা করাতে হবে সবাইকেই। পরীক্ষা পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। শহরের মোট পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল আইটিজিএমইআর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই পরীক্ষাগুলি করা হবে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, এতদিন গর্ভবস্থায় থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটেই করা হত। তবে এবার থেকে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জন্যই এই পরীক্ষার নমুনা সংগ্ৰহ করা বাধ্যতামূলক করা হল। রাজ্যে বিপুল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনঘটিত সমস্যা। সাধারণত বাবা মায়ের জিনে রোগটি প্রচ্ছন্ন থাকলেও শিশুর মধ্যে তা প্রকট হতে পারে।স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রক্তের সংগৃহীত নমুনা ঠিক তাপমাত্রায় রেখে তা তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে (টিসিইউ)। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ থেকে পাঠানো ওই নমুনার রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে দিতে হবে। প্রসূতির পরীক্ষায় যদি থ্যালেসেমিয়া পজিটিভ আসে, তখন স্বামীরও পরীক্ষা করা হবে। তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ এলে, গর্ভস্থ ভ্রূণের জিন পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি দেখা যায়, ওই ভ্রূণও একই ভাবে আক্রান্ত, তা হলে ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানোর বিষয়ে বোঝানো হবে দম্পতিকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours