SSC Scam: ‘‘তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি, আপনাদের কিছু বলব না’’! মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র
1200-900-17993064-thumbnail-4x3-photonew-aspera
1200-900-17993064-thumbnail-4x3-photonew-aspera

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও কুন্তল তো কখনও তাপস, নিয়োগ দুর্নীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই এর ওর মুখে উঠে আসছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। বুধবার অবশেষে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সূত্রের দাবি, গোটা ছয়েক কোম্পানি রয়েছে তাঁর নামে। আরও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোন ‘কালীঘাটের কাকু’।

টানা ৩ ঘন্টা জেরা

এদিন সকাল ১১ টায়  সিবিআই দফতরে হাজির হন সুজয়কৃষ্ণ।  টানা ৩ ঘন্টা জেরা চলার পর তিনি বাইরে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন এবং তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন যে, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিস যায়নি। তাঁকে আবার তদন্তকারীরা ডেকে পাঠিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাকে আবার ডাকা হয়নি।”  তিনি কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা? প্রোমোটিংয়ের টাকা কোথা থেকে আসে? এইসব প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হন সুজয়। তিনি বলেন,“হ্যাঁ, আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি। আপনাদের কিছু বলব না।”

কুন্তল, শান্তনুকে চিনি

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অনেকেই দাবি করেন, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সেই কুন্তল এবং বলাগড়ের আর এক যুবনেতা শান্তনুকে তিনি চেনেন বলে জানান সুজয়।  তাঁর কথায়, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।” নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, ‘‘টাকা নিয়েছি কি না ওঁরা (তদন্তকারী) আমায় জিজ্ঞাসা করেছে। নিলে ওঁদের বলতাম।”

আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিস পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’ প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে তলব করা হল।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles