Sundarbans: ম্যানগ্রোভ অরণ্য, অজস্র দ্বীপ, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে ‘মহারাজেরও’!

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! যাবেন নাকি সুন্দরবন?
Sundarbans
Sundarbans

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর কি কখনও সুন্দর হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। আর যে জায়গায় বেড়াতে গেলে ভয়ঙ্করকেও সুন্দর বলে মনে হয়, তা আর কোনও জায়গা নয়, আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেরই এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র "সুন্দরবন"। এখানে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ, আর গাছে সাপ। তবু এই অরণ্য সুন্দর। বলা হয়, সুন্দরী গাছের আধিক্য থাকার কারণেই নাকি এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নাম হয়েছে সুন্দরবন (Sundarbans)।

১০২টি ছোট-বড় দ্বীপ

সুন্দরী গাছ ছাড়াও এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যে আছে ধূধূল, কেওড়া, গরান, গেওয়া, গোলপাতা আর বাঘেদের লুকিয়ে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রিয় "হেতাল" গাছ। সুন্দরবনের (Sundarbans) মোট ১০২ টি ছোট-বড় দ্বীপের মধ্যে ৫৪ টি দ্বীপে জনবসতি আছে। বাকি দ্বীপগুলিতে শুধুই বাদাভূমির ওপর ম্যানগ্রোভের জঙ্গল, আর সেই জঙ্গলে বসবাসকারী অরণ্যাচারী প্রাণীর দল, যার মধ্যে আছে হরিণ, শজারু, বাঁদর, বুনো শুয়োর, বন বিড়াল, আর হ্যাঁ আছেন তিনি! বনের রাজা, স্বয়ং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে তিনি চট করে কাউকে দেখা দেন না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তবেই মহারাজের দেখা মেলে। আর নদীর বুকে আছে কুমির। শীতকালে প্রায়শই দেখা যায়, নদীর চরে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে বিশালাকার কুমির।

ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইট (Sundarbans)

আর আছে বিভিন্ন প্রকারের পাখি। এখানে দেখা মেলে বক, শামুকখোল, নানান প্রজাতির মাছরাঙা, সিগাল, মাছ ধরা ঈগল, পানকৌড়ি প্রভৃতি পাখির। প্রায় ৪২১০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা এই অরণ্যকে ১৯৮৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৭ সালে মেলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি। ইউনেস্কো এই অরণ্যকে গ্লোবাল বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ফরেস্ট বলে ঘোষণা করে। ১৯৮৭ সালের ১২ ডিসেম্বর এই সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে মাতলা, হোগল, বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল প্রভৃতি নদী। সুন্দরবনের (Sundarbans) প্রাণকেন্দ্র হল সজনেখালি। এখান থেকেই জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়।

ঘোরা এবং থাকা-খাওয়া (Sundarbans)

ঘোরার জায়গা বলতে রয়েছে পাখিরালয়, বনবিবি ভাড়ানি, নেতি ধোপানির ঘাট, পীরখালি, বুড়ির ডাবরি, দোবাকি, পঞ্চ মুখানি প্রভৃতি। এগুলোর মধ্যে বহু জায়গাতেই ওয়াচ টাওয়ার আছে।যাতায়াতের উপায় কী? এক সময় ক্যানিং থেকে লঞ্চ নিয়ে সুন্দরবন (Sundarbans) যেতেন পর্যটকরা। এখন প্রায় অধিকাংশই যান গদখালি দিয়ে। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ট্যুরিস্ট লজ "সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজ"। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজকারী সংস্থার নিজস্ব লজ। তবে যেহেতু এই সফরের প্রায় অধিকাংশটাই নদীবক্ষে এবং এখানে অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রর মতো থাকা-খাওয়ার হোটেল নেই, তাই এই ভ্রমণটি প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে নেওয়াই ভালো। অন্যথায় খরচ ও ঝামেলা, দুই-ই অনেকখানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles