Article 370: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

সন্ত্রাসবাদ দমনে একমাত্র উপায় ছিল ৩৭০ ধারা রদ...
amit
amit

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তিন বছর আগে সংবিধানের ওই ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। সম্প্রতি ফের মামলাটি উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চে। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ২ অগাস্ট থেকে সোম ও শুক্রবার ছাড়া শুনানি হবে প্রতিদিন।

৩৭০ ধারা রদ

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। বেঞ্চের সদস্যরা হলেন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত। সোমবার আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামায় কেন্দ্র দাবি করেছে, ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ করার পর জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।

ভূস্বর্গে অভাবনীয় উন্নতি 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হলফনামায় জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরে জম্মু-কাশ্মীরে অভাবিত স্থিতাবস্থা, উন্নয়ন, অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। সেই পাথর ছোড়ার দিন এখন অতীত। তিন দশকের অশান্তির পরে স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে কাশ্মীরে। স্কুল-কলেজ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চলছে স্বাভাবিকভাবেই। গত তিন বছর ধরে এটাই দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Supreme Court) হলফনামায় জানিয়েছেন, গত তিন দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদের আগুনে পুড়ছিল। এটা দমন করার একমাত্র উপায় ছিল ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ। বর্তমানে ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর। শিল্পের বিকাশ হয়েছে। যাঁরা এক সময় উপত্যকায় বাস করতেন ভয়ে ভয়ে, তাঁরাই এখন শান্তিতে বসবাস করছেন।

আরও পড়ুুন: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

হলফনামায় জানানো হয়েছে, শিক্ষার অধিকার, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক বড় ধাক্কা খেয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার (Supreme Court) সূচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কাউন্সিলের ভোট হচ্ছে। এছাড়াও ধারা বিলোপের পরে কাশ্মিরী, ডোগরি, উর্দু, হিন্দির মতো ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি মেনেই এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়েছে ২০টি পিটিশন। এই পিটিশনগুলি এবার খতিয়ে দেখবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles