মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য রাজ্যের লটারির ওপর প্রাক জিএসটি (GST) যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য (State)। এ মর্মে দায়ের হওয়া একটি রিভিউ পিটিশন (Review Petition) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত (SC on Lottery Tax) কেরল এবং কর্নাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল সিকিমের মতো যেসব রাজ্য লটারি রয়েছে, সেগুলির ওপর অন্য রাজ্য কোনও ট্যাক্স বসাতে পারে না।
সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা...
এদিন সেই রায়ের ওপর দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনও খারিজ করল শীর্ষ আদালত। কেরল এবং কর্নাটক দুই রাজ্যের হাইকোর্টই জানিয়ে দিয়েছিল, যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইনসভার এটা করার কোনও অধিকারই নেই। এতে বলা হয়েছিল, সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা সংক্রান্ত যে আইনের সংস্থান রয়েছে, তাতে লটারিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই রায়ের ফলে কর্নাটক ট্যাক্স অন লটারিজ অ্যাক্ট ২০০৪ এবং কেরল ট্যাক্স অন পেপার লটারিজ অ্যাক্ট, ২০০৫ বৈধ বলে গণ্য হল। এখন দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এর আগের রায়ে কোনও ভুল ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই কারণেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে রিভিউ পিটিশন। সিকিম সহ বেশ কিছু রাজ্য লটারি চালায়। এই রাজ্যগুলির লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য। এই মর্মে দায়ের হওযা রিভিউ পিটিশনই এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, দ্য লটারিজ (রেগুলেশন) আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী লটারি ব্যবসার পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ হয় ভারতে। এই আইনে লটারি ব্যবসায় রাজ্যগুলিকেও প্রায় সমান ক্ষমতা দেওয়া আছে। সারা দেশে এখন একটি সংস্থাই লটারির ডিস্টিবিউটর। যদিও আইন অনুযায়ী একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর থাকার কথা। সহজ কথায় সারা দেশে একটি ব্র্যান্ড নেমেই বিভিন্ন রাজ্যের লটারি বিক্রি হয়। বাংলায় সব থেকে বেশি বিক্রি হয় নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি। পাঞ্জাব ও সিকিম রাজ্য লটারিও বিক্রি হয় প্রচলিত ব্র্যান্ড নেমে। ২০২০ সালের পর থেকে নিজস্ব লটারি খেলা বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
+ There are no comments
Add yours