মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুরাট দায়রা আদালতেও ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাও। ২৩ মার্চ গুজরাটের (Gujarat) সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরপি মোগেরা বৃহস্পতিবার তার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। রাহুলের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি মোদি (Modi) উপাধি নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আদালতের এই রায়ের জেরে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েও সংশয় তৈরি হল।
রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)...
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে রাহুলকে (Rahul Gandhi) ২৩ মার্চ দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রায় কার্যকর করতে ৩০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল আদালত। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তার প্রেক্ষিতেই ওই রায় দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এক জনসমাবেশে রাহুল বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি কীভাবে মোদি হতে পারে? আদালতের ওই সিদ্ধান্তের জেরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, আইনের অধীনে আমাদের কাছে এখনও সব বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। আমরা সেগুলির সদ্ব্যবহার করার কথা ভাবছি।
আরও পড়ুুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়
আদালতের রায়ের জেরে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করে দেন। তাঁকে দোষী ঘোষণা ও সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ৩ এপ্রিল সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। সেই আবেদনই খারিজ হয়ে গেল এদিন। আইনজীবীদের মতে, আদালতের এই রায়ের ওপর যদি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours