মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের মায়ানমারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা হয়তো মনে আছে। এই অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবাম। এবার তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হল অগ্নিগর্ভ মণিপুরকে (Manipur Violence) শান্ত করার। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্নেল শৌর্য চক্র এবং কীর্তি চক্র সমেত একাধিক মেডেল পেয়েছেন। এবার তাঁরই হাতে মণিপুরের (Manipur Violence) ভার তুলে দিল এন বীরেন সিং সরকার। আগামী পাঁচ বছরের জন্য মণিপুর পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট কমব্যাট পদে দায়িত্বভার সামলাবেন তিনি। মণিপুর অশান্ত হওয়ার পরপরই গত ১২ জুনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অমৃত সঞ্জনবামকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৮ অগাস্ট মণিপুরের (Manipur Violence) জয়েন্ট সেক্রেটারির এক বিবৃতিতে একথা সামনে আসে।
বীরত্ব এবং সাহসী পদক্ষেপে অমৃত সঞ্জেনবানের জুড়ি মেলা ভার
২০১৫ সালে ধারাবাহিকভাবে মায়ানমারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অমৃত সঞ্জনবামকে। সে সময়ে বীরত্বের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান লাভ করেন এই সেনা আধিকারিক। জানা গিয়েছে মণিপুরের (Manipur Violence) বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরানোর কাজে তাঁকেই সবথেকে দক্ষ অফিসার বলে মনে করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার যখন তাঁকে শৌর্যচক্র দেয়, সে সময় অমৃত সঞ্জেনবাম সম্পর্কে সরকারের বিবৃতি ছিল ঠিক এরকম, ‘‘সবথেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রচনায়, অনুকরণীয় বীরত্ব প্রদর্শনে এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারদর্শী।’’
চলতি বছরে ৩মে থেকে মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি অশান্ত হয়
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে থেকে মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি অশান্ত হয়। এখনও পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের হিংসায় মারা গিয়েছেন ১৭০ জন মানুষ। এছাড়াও ভিটে মাটি হারা হয়েছেন আরও বহু মানুষ। হিংসার পাশাপাশি নারী নির্যাতনের খবরও শিরোনামে এসেছে। গত পাঁচ দিনেও সে রাজ্যে ১২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন মানুষ। উপত্যকার অধিবাসী মেইতিদের সঙ্গে পাহাড়ের অধিবাসী কুকিদের এই সংঘর্ষ চলছেই (Manipur Violence)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours