মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা হাঁটলেন ৫০ মিনিট ধরে। তৃণমূলের গড়ে নিজের জাত চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভিড়ে ঠাসা লোকজনের মাঝে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মাত্র তিন কিমি রাস্তা শুভেন্দুর হেঁটে পৌঁছতে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। শহিদ বেদির পাশে বিজেপির দলীয় পতাকা দেওয়া সভামঞ্চের ব্যাকড্রপে ছিল শুভেন্দু, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, সাংসদ কুনার হেমব্রম-সহ রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির ছবি।
শুভেন্দু যা বললেন
এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে রুখে দেয় আমি দেখব। আমিও জানি কী ভাবে সোজা করতে হয়। অনেক বড় বড় মাতব্বরকে সোজা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোদ্দ পুরুষও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ নেতাই কাণ্ডের জেলমুক্ত অভিযুক্তদের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দশ-বারো বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ভদ্র থাকুন, ভাল থাকুন। বেশি আর লাল ঝান্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এসব করতে যাবেন না। আবার বিপদে পড়বেন। পাশে কেউ দাঁড়াবে না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে। আমরা ছাড়া কেউ পারবে না।’’
Marched alongside @BJP4Bengal
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 30, 2023
Karyakartas from Lalgarh to Netai in Jhargram Dist for garnering support to create a Corruption Free WB.@MamataOfficial; you can forcefully keep Suvendu Adhikari out of Netai for some time but can't keep him out of the hearts of the people of Netai. pic.twitter.com/rDofVVsY0C
সভা শেষে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মঞ্চে ডেকে নেন শুভেন্দু। এসেছিলেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি দ্বারকানাথ পন্ডাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘শহিদবেদিতে আমাকে মালা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি দ্বারকাবাবু ও নেতাইবাসী মানেননি। তাই দ্বারকাবাবুকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে সরানো হয়েছিল। এটা বিজেপির কর্মসূচি। উনি বিজেপির সদস্য নন, তাই তাঁকে আহ্বান করতে পারি না। কিন্তু উনি নিজে এসে পুরো গ্রামের মানুষের মনের কথা বলে দিলেন।’’ এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদি’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours