মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিনেতা নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে সেসময় কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। খালিস্থানপন্থী জঙ্গি নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার জাস্টিন ট্রুডোর সমর্থনে একাধিক পোস্ট করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে (Sagarika Ghosh)। এই আবহে সরাসরি তৃণমূলকে দেশবিরোধী তকমা দিয়ে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরিকার একটি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টকে শেয়ার করে একাধিক প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আমার প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছিল সাগরিকা ঘোষকে? কারণ, তিনি দেশ বিরোধী? নাকি তিনি বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করতে পারেন? আর নাকি তিনি যতবার টুইট করেন বা মুখ খোলেন, তাঁর বোকামো সামনে এসে পড়ে? সঠিক জবাব হল - ওপরের সবকটি অপশন। শাসকদলের বিরোধিতা করা এক জিনিস। তবে দেশকে ছোট করে দেখানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এক বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হচ্ছে, যেখানে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। এটা গ্রহণযোগ্য় নয়। তৃণমূলকে স্পষ্ট করে দিতে হবে যে এই সব বক্তব্য সাগরিকা ঘোষের ব্যক্তিগত মত নাকি দলীয় ভাবে কোনও টুলকিটকে সমর্থন করা হচ্ছে? একই সঙ্গে দুটো হতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আবেদন, আপনি মুখ খুলুন। আপনি হয় ভারতের পক্ষে নয় দেশের বিপক্ষে।’’
TMC Supremo @MamataOfficial, on what grounds did you nominate @sagarikaghose to the Rajya Sabha?
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 16, 2024
Because she seemed to be Anti National?
Because, she does great bidding for foreign powers?
Because she outdoes herself in stupidity every time she Tweets or speaks?
Correct… https://t.co/Putr2Bk5QE
কী বলেছিলেন সাগরিকা ঘোষ?
দেশের বিরোধিতা করে নিজের পোস্টে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা (Sagarika Ghosh) লেখেন, ‘‘এক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান অভিযোগ করছে যে তাঁর দেশে মোদি সরকার বেআইনি অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। আর তা নিয়ে আমাদের নন-বায়োলজিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না? কেন জাস্টিন ট্রুডো এই ধরনের অভিযোগ করছেন? কেন ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকল? এই সবের মাঝে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা কী? মেরুদন্ডহীন ভারতীয় মিডিয়া আনুগত্যের ট্রাম্পেট বাজাতে থাকবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours