মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের বলা হয়ে থাকে মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ তাঁদেরই কারও কারও আচরণ যে কী ন্যক্কারজনক হতে পারে, তার উদাহরণ মিলল হুগলিতে। ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, তাদের ছবি তোলা, শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগ উঠল পোলবার আটপু্কুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এইসব অভিযোগ ঘিরে স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই শিক্ষককে স্কুলেই তালাবন্দি করে রাখা হয়। আগুন দেওয়া হয় তাঁর সাইকেলেও। পোলবা থানার পুলিশ (Hooghly) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। জনরোষ থেকে কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শিক্ষক স্কুলে আসতেই শুরু বিক্ষোভ (Hooghly)
বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে পোলবা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুলের মিড ডে মিলের কর্মী এক মহিলা জানান, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। একজন শিক্ষিকা আছেন, তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। গতকাল অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি জানান শিক্ষিকা। আজ ওই শিক্ষক স্কুলে আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযুক্ত শিক্ষক অঙ্কন পালকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ।অভিযুক্ত শিক্ষকের সাইকেল পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি (Hooghly) বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। গ্রামবাসীদের সরিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
কী বললেন প্রধান শিক্ষক? (Hooghly)
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ কুমার বৈদ্য জানান, তিনি ৩০ ডিসেম্বর স্কুলে যোগ দিয়েছেন। এই স্কুলে (Hooghly) মোট ২৮ জন ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষক বলতে তিনি ছাড়া আরও ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি নিজেও কিছু দেখেননি। তবে পুলিশ-প্রশাসন আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক। ডিএসপি বলেন, একজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। আমরা দেখছি, আইনগত যা ব্যবস্থা, তা নেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours