DA Protest: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়! ধর্মঘটীদের এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ

ধর্মঘটীদের জবাব, 'ঠিক করেছি। বকেয়া মহার্ঘভাতা আমাদের প্রাপ্য। এই লড়াই ন্যায্য।'
Employees-during-a-protest-in-Kolkata-on-Monday-Partha-Paul
Employees-during-a-protest-in-Kolkata-on-Monday-Partha-Paul

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোকজ লেটার নিয়ে গর্বিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে (DA Protest) তাঁরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেছেন। নিজেদের বিক্রি করেননি। প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ যাঁরা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের শোকজ করেছিল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যাঁদের শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, তাঁদের মার্চ মাসের স্যালারি থেকে একদিনের বেতন কাটা যাবে। এমন একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

সরকারকে সতর্কবার্তা

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের (Govt Employees Agitation) যৌথ মঞ্চের ডাকে গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘভাতার (DA Protest) দাবিতে ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১০ মার্চ ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া অফিসে হাজিরা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই, ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বহু সরকারি কর্মচারী। সরকারি নোটিশের তোয়াক্কা না করে অনেক ধর্মঘটীদের জবাব, 'ঠিক করেছি।'


উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে (DA Protest) অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে।

ভয় পেয়েছে সরকার

রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসা হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারীরা অতীতেও ধর্মঘট করে শাস্তিমূলক অবস্থার মধ্যে পড়েছি, মাইনে কাটা গিয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলন অত্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের প্রতিবাদের মুখ খুলে গিয়েছে। সরকারী কর্মচারীরা সব জেনেই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁরা এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক থেকে তাঁরা দূরে থাকতে চাননি। এতে কর্মচারীরা আরও উজ্জীবিত হচ্ছেন।’

আরও পড়ুন: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

সরকারের পদক্ষেপে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে – ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মচারীরা। অনেকের কথায়, ‘জীবনে প্রথম বার শোকজ নোটিস হাতে পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে এতটা গর্ব হয়নি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যে এতটা আনন্দ আগে বুঝতে পারিনি।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন,‘আমার স্কুলের একুশ জন শিক্ষিকার মধ্যে আমি একাই ছিলাম ধর্মঘটে (DA Protest) অংশগ্রহণকারী। তাই এই সার্টিফিকেট একাই পেলাম। সুস্থ-সবল শিরদাঁড়ার সার্টিফিকেট।’

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles