মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমীর দুপুরে বাংলাদেশের দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে (Train Accident in Bangladesh) কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সে দেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মালগাড়ির সঙ্গে বাংলাদেশের এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জেরে এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের শেষের দিকে কয়েকটি কামরা উল্টে যায়। সে দেশের প্রশাসনের সহায়তায় শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে প্রচুর মানুষের ভিড়। ভৈরব উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক (ইউএনও) সাদিকুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “আহত অনেকেই ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। আমাদের প্রথম কাজ তাঁদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো। সেই কাজ করা হচ্ছে।”
বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা
দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতাও উদ্ধারকাজে প্রশাসনকে (Train Accident in Bangladesh) সহায়তা করছেন। যাত্রীদের বের করে আনার কাজ চলছে কামরাগুলিকে কেটে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জখম হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তবে মৃত ও জখমের সংখ্যা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবার দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, উল্টে যাওয়া বগির নিচে অনেক যাত্রী চাপা পড়েছে। এছাড়া রেললাইনের ওপর অনেকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেখানে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মালবাহী ট্রেনটি (Train Accident in Bangladesh) অর্থাৎ মালগাড়িটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেন এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। ভৈরবের আউটার পয়েন্টের কাছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের শেষ দুটো কামড়ায় মালবাহী ট্রেনটি ধাক্কা মারে। এরফলে শেষের দিকে বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours