মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ফলপ্রকাশ। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রকাশ করল পর্ষদ। সোমবার পর্ষদের ওয়েবসাইটে নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের নম্বরও প্রকাশ করা হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে, আমরা সেটা দিয়ে দিয়েছি। আশা করছি, ২০১৪ সালের ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের মধ্যেই নম্বর জানিয়ে দিতে পারব। যদি কাজ শেষ করতে পারি, তার আগেও জানিয়ে দিতে পারি।" তবে শংসাপত্র এখনই দিচ্ছে না পর্ষদ। যদিও এতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। পর্ষদের তরফে মোট ১৮৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম...! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান নির্ণায়ক টেট-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। হাই কোর্টের নির্দেশে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরও উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২০১৪ কিংবা ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা নেওয়া হলেও এত দিন পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা নিজেদের নম্বর জানতে পারেননি। হাতে পাননি শংসাপত্রও। পর্ষদ সভাপতি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর কিংবা শংসাপত্র এত দিন না দেওয়ার বিষয়ে গাফিলতি ছিল। সোমবারের সংবাদিক সম্মেলনে গৌতম পাল বলেন, ‘‘এবার থেকে টেট পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার নম্বর ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কিছু আইনি জটিলতার কারণে পরীক্ষার নম্বর প্রকাশের ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়েছে৷’’
আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ২৬৯ জনকে। সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এদিন পর্ষদের তরফে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যোগ্যতা থাকলে ওই ২৬৯ জন চাইলে চাকরিতে ফের যোগ দিতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours