Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ঢোকার মামলায় প্রথম গ্রেফতারি, ধৃত সংগঠনের প্রধান

যাদবপুরকাণ্ডে ফের পুলিশ হেফাজতে দীপশেখর ও মনোতোষ 
jadavpur_university_f
jadavpur_university_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) বুধবারই ঢুকে পড়েছিল সেনার পোশাকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল। মাথায় টুপিতে লেখা ছিল ভারতীয় সেনা। এর পর ওই দলের তরফে জানানো হয়, তারা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের সদস্য। কিন্তু সেনা পোশাকে (Jadavpur University) হঠাৎ কেন ক্যাম্পাসে? এর কোন সদুত্তর তখন তারা দিতে পারেনি। উল্টে এক এক ধরনের বিবৃতি আসে। ওই সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল কাজি সাদিক হোসেনের তখন বলেন, ‘‘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা তাদের কাজ।’’ কখনো বা তাঁরা বলেন চম্পাহাটির একটি এনজিও থেকে তাঁরা এসেছেন, তাঁদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করল সাদিক হোসেনকে। 

গ্রেফতার সেনার পোশাকে যাদবপুরে (Jadavpur University) ঢোকা কাজি সাদিক হোসেন

এই ঘটনায় কাজি সাদিক হোসেনকে (Jadavpur University) সমন করে যাদবপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সাদিক হোসেন সেই সমনে থানায় যাননি, তাই শনিবার রাতে সাদিক হোসেনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।  প্রসঙ্গত সেনার পোশাকের অপব্যবহারের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয় যাদবপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর এর সুয়োমুটো কেসের ভিত্তিতে। সাদিক হোসেন গ্রেফতারর হওয়ায় এবার মনে করা হচ্ছে, কেন তাঁরা সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে (Jadavpur University) ঢুকেছিলেন এর রহস্য উন্মোচন হবে।

ফের পুলিশ হেফাজতে দীপশেখর ও মনোতোষ 

অন্যদিকে শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ২ পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষকে ফের হেফাজতে চাইল যাদবপুর থানার পুলিশ। এবং তাতে সম্মতি দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, মনোতোষ ঘোষ মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের ক্লাসমেট ছিলেন। এদিন সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদানের মামলায় তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছাত্র মৃত্যুর যে মূল মামলা সেখানে এ দুইজনের নাম ছিল অর্থাৎ দীপশেখর এবং মনোতোষের। এবার সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দানের মামলাও জুড়ল ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৩ ধারাতে। আগামী ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক (Jadavpur University)। অন্যদিকে, ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে মনোতোষের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন যে র‌্যাগিং-এর মূলধারার পরেও কেন আবার নতুন করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদানের ধারা যোগ করা হল? তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘হস্টেলের এক কর্মী জানিয়েছেন যে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ঘটনার পরে গেট বন্ধ রাখতে।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles