মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মধ্যে গলায় ইলেকট্রিকের তার জড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে। আর পাশেই গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) খড়দা থানার আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মৌসুমী সান্যাল (৫৫) এবং মেয়ে দিয়া সান্যাল (১৯)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায় সান্যাল পরিবার ঘরভাড়া আসে। বাড়ির কর্তা রজততেন্দ্র সান্যাল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। মেয়ে বাড়়িতে জয়েন্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাড়িতে তিনজনেই থাকতেন। আত্মীয়স্বজন আসা যাওয়া দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতো এদিন সকালবেলা রজতবাবু বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজারে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে তালা মেরে যান। এদিনও বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে তিনি বাজারে চলে যান। বাড়ি ফেরার পর দরজা খুলেই দেখেন স্ত্রী ও মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এলাকায় ঘরভাড়া আসার পর থেকে সান্যাল পরিবারের লোকজন খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। বাড়ির দরজা, জানলা সব সময় দেওয়া থাকত। মেয়ে জয়েন্টে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে আমরা জানতি পারি। তার বেশি তাঁরা আর কিছু বলেনি।
পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?
মৃতের স্বামী রজতবাবু বলেন, মেয়ে গতবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হয়েছিল। তারপর থেকে ও মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ওর চিকিৎসা চলছিল। মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝামেলা লাগত। মেয়ের প্রস্তুতির জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করছিলাম। ও ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যেই এভাবে এই ঘটনা ঘটবে তা ভাবতেই পারছি না। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। তবে, কী কারণে মা ও মেয়ে এই ধরনের চরম সিদ্ধান্ত নিল তার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours