ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

বনমন্ত্রীর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজ নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?
ITI_College
ITI_College

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ (ITI College)। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজ। কোটি টাকা খরচ করে বিল্ডিংও তৈরি করা হয়েছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পরই আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (ITI College)

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বনমন্ত্রীর জন্মভিটে। বামুনপাড়া এলাকায় তিনি নিজেদের জমিতে আইটিআই কলেজ (ITI College) করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলকাতার রিজেন্ট স্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এই কলেজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে মন্তেশ্বরের এই কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ জন। এতদিন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। মন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে এলাকায় আইটিআই কলেজ করে দেওয়ায় এলাকার মানুষও খুশি। কলেজের গেটে মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ বলে ইংরেজিতে নাম লেখা ছিল। মন্ত্রী গ্রেফতার হতেই কলেজের নাম মুছে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় কলেজটি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। কেন এভাবে আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছিলাম না। এটা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হতেই সোমবার দেখি, বাংলায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এরকম কেন করা হল তা বুঝতে পারছি না। কারণ, আগে ইংরেজিতে লেখা ছিল মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ। আর এখন লেখা হল সরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, মন্তেশ্বর।

কলেজের অধ্যক্ষের কী বক্তব্য?

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের অনুমোদিত কলেজ (ITI College)। আসলে পূর্ত দফতর কলেজ বিল্ডিংয়ের রং করছিল। তাই, গেট থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এখন রঙের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই। কলেজে কোনও সমস্যা নেই। এটা নিয়ে এত কেন চর্চা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, এই কলেজে পরিচালন কমিটিতে মন্ত্রীর বাড়ির কেউ নেই। পরিচালন কমিটির সকলের বাড়ি কলকাতায়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles