মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর খননকাণ্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যেৎস্না রানী বর্মনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তিনি রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তদন্তকারি অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের-২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায়।
সরকারি আধিকারিকদের কেন ঘেরাও করলেন গ্রামবাসীরা? (Raiganj)
পুকুর খনন দুর্নীতি মামলায় জেলা প্রশাসনের এমজিএনআরইজিএ বিভাগের তদন্তকারি টিমকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুরু থেকেই গাফিলতি হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত হচ্ছে না। নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে এলোমেলোভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মামলার মূল অভিযোগকারী আজগর আলি বলেন, একাধিকবার পুকুর দুর্নীতি মামলায় পরিদর্শনে এসেছেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু, তারা প্রকৃত জায়গায় না গিয়ে অন্যস্থান পরিদর্শন করছেন। গত বেশ কয়েকদিন আগেও একই অভিযোগে তদন্তকারি টিমকে আটকে রাখা হয়েছিল ওই এলাকায়। আজগরবাবু আরও বলেন, সম্প্রতি একটি নোটিশ জারি করেছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত সেই নোটিশ পাঠিয়েছে কশেকজন গ্রামবাসীর বাড়িতে। যেখানেও গাফিলতি রয়েছে, যাদের আদতে কোনও পুকুরই নেই তাদের কাছে এই নোটিশে পুকুরের মালিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
পঞ্চায়েতের নোটিশ প্রসঙ্গে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?
শেখ আজিজুল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, পঞ্চায়েত থেকে আমার কাছে নোটিশ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আমার বাবার নামে পুকুর রয়েছে। কিন্তু, আদতে আমাদেই কোনও পুকুরই নেই। পাশাপাশি এলাকায় তদন্তের জন্য সরকারি আধিকারিকরা এলেও আমাদের সঙ্গে কোনওরকম সাক্ষাৎ করেনি বলে অভিযোগ। সেকারণে আমাদের আধিকারিকদের আটকে বিক্ষোভ দেখান। একই অভিযোগ আইনুদ্দিন নামে অপর এক গ্রামবাসীর। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত থেকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয় সকাল ১১ টায় তদন্ত করতে আসবেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু, কেউ আসেনি। পাশাপাশি আমার নামে পুকুর দেখানো হলেও আদতে আমার জমিতে কোনও পুকুরই নেই বলে। যদিও এবিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তদন্তকারি অফিসাররা।
পুকুর খননকাণ্ডে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে জানেন?
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় ২১ টি পুকুর খননের প্রকল্প ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে তৎকালীন প্রধান ও বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যেৎস্না রানী বর্মনের বিরুদ্ধে। খাতায় কলমে ২১ টি পুকুর খনন কার্য সম্পন্ন দেখিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। সেই মামলার প্রক্ষিতেই এদিন তদন্তে আসেন আধিকারিকরা। তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours