Arambagh: আরামবাগে গাছ কাটতেও কাটমানি! তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলল পার্টি অফিসে

আরামবাগে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা দিলেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?
Untitled_design_(13)
Untitled_design_(13)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা। এবার গাছ কাটা ও তার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর। আর তার জেরেই  প্রায় ১০ দিন ধরে বন্ধ অঞ্চলের প্রধান দলীয় কার্যালয়। কার্যালয়ে ঝোলানো হল দু'দুটি তালা। আরামবাগের গোঘাটের হাজিপুরে তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ের এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের নতুন অঞ্চল কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় আদি বনাম নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে। আর ওই অঞ্চলে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব একেবারেই প্রকাশ্যে চলে আসে। আর সেই কারণেই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ, এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ গাছ কাটতে গেলেই অনুমতি লাগবে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর দুই অনুগামীর। আর সেই অনুমতি পেতে দিতে হবে গাছ বিক্রির একটা অংশ। এমনই দাবি মতো টাকা দিতে পারেননি এলাকারই এক গাছ মালিক শুভেন্দু কুন্ডু। তিনি নিয়ম মত পঞ্চায়েতে ট্যাক্স দিতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি। তাই তার আর গাছ কাটা হয়নি। আদি গোষ্ঠীর লোকজন তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন দ্বায়িত্ব পাওয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মীর আফসার আলি। তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন দলের আদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমরা কোনও তালা দিইনি। ওরা তালা দিয়েছে। গাছ কাটার জন্য কাটমানি চাওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়।

কোন্দল নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

গাছ কাটার অনুমতি যেখান থেকে পাওয়া যায় সেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সৌরভ মণ্ডল বলেছেন, আমি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অরুণ কেওড়া বলছেন, আমাদের কোনও দ্বন্দ্বই নেই। চাবি  হারিয়ে গিয়েছে বলে বন্ধ কার্যালয়।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

এই ঘটনা সম্পর্কে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল যে তোলামূল সেটা বারবার প্রমাণ হয়েছে। সাধারণ মানুষ একটা গাছ কাটবে প্রশাসনের যা নিয়ম আছে সেই নিয়ম মেনে, সেখানেও তোলা দিতে হবে শাসকদলের নেতাদের। মানুষ যাবে কোথায়? সেই টাকাপয়সার ভাগ বাটোয়ারা কমবেশি হওয়ায় দ্বন্দ্ব। তবে, মানুষ বুঝতে পেরেছে এদের ভন্ডামি নাটক। ২০২৪ এ আরামবাগ মহকুমা থেকে তৃণমূল ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles