মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙছে। ৪২ এর মাত্রা ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। বঙ্গবাসীর নাজেহাল অবস্থা। এই পর্বে বৃষ্টির আশা থাকলেও ভবিষ্যতে ফের কতদিন এই গরম সহ্য করতে হবে, জানা নেই। এবার ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ, অশেষ দুর্ভোগের মধ্যেই অফিস ছুটতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। স্কুল-কলেজে তো আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার কি জানা আছে, এই ৪২ ডিগ্রির থেকেও মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে মানুষ? বিশ্বের ইতিহাসে আছে এমন এমন বছর, যেগুলি জনজীবনে অভিশাপ হয়ে উঠেছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়েছিল জীবন।
কবে, কোথায় এই মারাত্মক তাপপ্রবাহ থাবা বসিয়েছিল?
যখন কোনও স্থানে তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তখন সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিশ্বে এরকম অনেক সময় আছে, যে বছরগুলিতে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) পরিমাণ ছিল মারাত্মক। পৃথিবীর সবথেকে উষ্ণ দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে, ক্যালিফোর্নিয়াতে। তখন সেই জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়, কীভাবে মানুষ এই মাত্রাতিরিক্ত গরম সহ্য করেছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া। আরও অনেক জায়গায় এই দাবদাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাসে তার মধ্যে ৪ টি হল নিউইয়র্ক বিপর্যয় ১৮৯৬ সাল, দ্যা গ্রেট স্টিনক ১৮৫৮, ইউরোপের দাবদাহ ১৭৫৭ সালে, ইউরোপের খরা ১৫৪০ সালে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত প্রচণ্ড তাপের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এবং তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই বছর সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। এপ্রিলের এই তাপপ্রবাহ উত্তর ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বেশি আঘাত হেনেছে।
ভারতের ইতিহাসে কি এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে?
শুধু সুদূর বিদেশের মাটিতে নয়, ভারতও এর থেকে মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১৯৭১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ৭০৬ টি তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে ভারতের রাজস্থানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৫৬ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৯৯৮ সালে মে-জুন মাসে তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় ২৫০০ জনের মৃত্যুও হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours