মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে উৎসবের আমেজ। রাতভর চলেছে কালীপুজো। কিন্তু দিনের আলো ফোটার আগেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। একদম ভোরেই শ্যুট আউট জয়নগরে (South 24 Parganas)। দুষ্কৃতীরা অচমকা হামলা চালিয়ে খুন করল তৃণমূল নেতাকে। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের কোন্দল। বখরা নিয়ে কোনও বিবাদের জেরে তাঁরই দলের বিপক্ষ লোকজন তাঁর উপর এভাবে হামলা চালিয়েছে, এমনটাই ধারণা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে এলাকার লোকজন ধরে গণপিটুনিও দেয়। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। তাই এখনই পরিষ্কার করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় জেলার রাজনীতি সরগরম। এলাকা জুড়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য।
কীভাবে ঘটল ঘটনা? (South 24 Parganas)
নিহতের নাম সইফুদ্দিন লস্কর। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। তিনি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য। একই সঙ্গে তিনি বামনগাছি অঞ্চলের (South 24 Parganas) তৃণমূলের সভাপতিও। তিনি যে পঞ্চায়েতের সদস্য, তাঁর স্ত্রী সেই পঞ্চায়েতেরই প্রধান। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
কী বলছে তৃণমূল? (South 24 Parganas)
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার (South 24 Parganas) তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। পরে তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও এই ঘটনার পিছনে আরও ২-৩ জন রয়েছে। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে কী সেই ষড়যন্ত্র, সে ব্যাপারটা খোলসা করেননি। পরিবার অবশ্য দাবি করছে, এর পিছনে রয়েছে সিপিএম। তাদেরও অভিযোগ, খুন করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। আর যারা এটা করেছে, তারা ওই নেতার গতিবিধি ভালোই জানত। আর সেই কারণেই ভোরবেলাকে বেছে নিয়েছে। সেই সময় ওই এলাকা নির্জন থাকে। তার সুযোগই তারা নিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours