মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসে চিনে (China) তিন সংক্রমণ ঢেউয়ের আশঙ্কা! অন্তত বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী তাই। তাঁদের মতে, নতুন মিউটেটেড করোনা (Covid 19) স্ট্রেনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে চিন। এমনিতেই এই মুহূর্তে সংক্রমণের শীর্ষে শি জিনপিংয়ের দেশ। নিত্যদিন প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। দেশের শ্মশানঘাটগুলিতে লাশের স্তূপ। দেহ দাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শ্মশানবন্ধুরা। যদিও চিনের দাবি, দেশে করোনায় মৃত্যুর হার শূন্য। তার কারণ, চিন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধুমাত্র নিউমোনিয়া ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যায় মৃত্যুকে কোভিডে প্রাণহানি বলে গণ্য করা হবে।
সংক্রমণ ঠেকাতে...
তিন বছর আগের এক ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম মেলে করোনা ভাইরাসের খোঁজ। সেখান থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন সহ নানা পন্থা অবলম্বন করে চিন সরকার। করা হয় জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ। চিন সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, দেশ কোভিড (Covid 19) শূন্য না হওয়া পর্যন্ত কোভিডবিধি শিথিল করা হবে না। সেই লক্ষ্যে নিভৃতবাস শিবির, লকডাউন, মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি সবই বজায় ছিল চিনে। তবে কম ছিল টিকাকরণের হার। যেটুকু টিকাকরণ হয়েছে, তাতেও কম শক্তিশালী দেশীয় কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কারণে চিনাদের শরীরে কোভিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। তাঁদের উপযুক্ত টিকাকরণও হয়নি।
আরও পড়ুন:ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের
চিন সরকার জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ করায় দেশে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। উরুমছিতে কোয়রান্টিন থাকা একটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল কিছু দিন আগে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে বাড়ি থেকে বেরতে না পেরে মৃত্যু হয় ওই বাড়ির ১০ জন বাসিন্দার। ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় সে দেশে। প্রবল বিক্ষোভের জেরে কোভিড নীতি শিথিল করতে বাধ্য হয় শি জিনপিংয়ের সরকার। আচমকা এই শিথিলতার জেরে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি শীতেই করোনার (Covid 19) তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ড্রাগনের দেশে। চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর প্রধান সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ উ জুনইউ বলেন, তিন মাসে তিনটি ঢেউ এসে পড়বে। প্রথম ঢেউটি এখন থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি অবধি চলবে। দ্বিতীয় ঢেউটি আসবে ঠিক তার পরেই। তাঁর অনুমান, তৃতীয় ঢেউটি আসবে ফেব্রুয়ারির শেষে, চলবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
+ There are no comments
Add yours