মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে হুগলির (Hooghly) মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ঘটনা আরামবাগের হরিণখোলা এলাকার। মৃত্যুর কারণে আরামবাগে শোকের ছায়া। আরামবাগে সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা নেই কেন? এই নিয়ে এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
কীভাবে ঘটল ঘটনা?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশহারার মনসা পুজো উপলক্ষে ওই এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মুণ্ডেশ্বরী (Hooghly) নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে, পাড় থেকে অনেকটা দূরে চলে যায় ওই পাঁচজনই। এরপরেই বিপত্তি নেমে আসে। কিছুক্ষণ পরেই পাঁচজনের মধ্যে একজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সে কোনও রকমে পাড়ে উঠে আসে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ছুটে আসে নদীর পাড়ে। সেই সঙ্গে আরামবাগ থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি জলে নেমে তলিয়ে যাওয়া বাকি ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য আরামবাগ (Hooghly) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, চিকিৎসক দেখার পর সঞ্জিৎ মালিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার বাড়ি আরামবাগের হরিণখোলার আম গ্রামে। অপর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বর্তমানে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আর বাকি দুজনের খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে গতকাল বিকেল থেকে সারারাত ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একজনের নাম বর্ষা পণ্ডিত, অপর জনের নাম মানসী ধারা। একজনের বাড়ি আরামবাগের বিরাটি গ্রামে এবং অপরজনের বাড়ি গোঘাটের কুলকি এলাকায়। আপাতত দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এলাকার মানুষের ক্ষোভ
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ঘটনা ঘটার প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পরে ডুবুরিরা এসে উপস্থিত হয়েছিল। তবে আরামবাগ (Hooghly) মহকুমায় সেভাবে কোনও ডুবুরির ব্যবস্থা ছিল না। এলাকার মানুষের দাবি, আরামবাগ মহকুমায় প্রশাসনের সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা রাখা উচিত। এলাকার মানুষ আরও বলে, সামনেই বর্ষা। নদীর জলে স্নান করতে গিয়ে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় আপদকালীন ব্যবস্থা রাখা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours