মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিঙে হোটেল ফাঁকা নেই। ট্রেনের টিকিটও প্রায় শেষ। পুজোর পর্যটন মরশুমে টয় ট্রেন, টাইগার হিলের আকর্ষণে দলে দলে দেশ বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিঙে (Darjeeling) ছুটে আসবেন। কিন্তু,যানজট যন্ত্রণায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাঁরা ঘরে ফিরবেন, এই আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলের।
দার্জিলিংয়ে কেন এত যানজট? (Darjeeling)
ব্রিটিশ আমলের পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আর পাহাড়ের পরিকাঠামো, বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিকল্প রাস্তা হয়নি। পার্কিং জোন নেই বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। এর ফলে যানজটে হাঁসফাঁস করছে দার্জিলিং (Darjeeling)। পানীয় জলের সঙ্কট ও যানজটের জন্য দার্জিলিং থেকে পর্যটকরা এক সময় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আবার পর্যটকরা দলে দলে পাহাড়মুখো হয়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার পাহাড়ে এসেছেন। নানা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবিও করেছেন। তাঁদের সহযোগী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)ও কিছুই করেনি। সেকারণেই পাহাড়জুড়ে যানজট সমস্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবহেলিতই থেকে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়। এবারও পুজোর ভ্রমণে দলে দলে পর্যটক দার্জিলিঙে আসবেন। তাতে যানজট সমস্যা আরও তীব্র হবে। এনিয়ে পাহাড়বাসীও চিন্তিত। কেননা পর্যটকরা দলে দলে আসায় পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। যানজট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে।
পাহাড়ে যানজট সমস্যা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?
শুধু পর্যটকরাই নয়,দার্জিলিঙের (Darjeeling) বাসিন্দারাও নাজেহাল হচ্ছেন। পাহাড়ের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরীভিত্তিতে সমতল শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ সময় চলে যায়। দার্জিলিং পুলবাজারের বাসিন্দা গৌলন শেরপা, চক বাজারের দীপেন ঠাকুরিরা বলেন, সুভাষ ঘিষিং দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকার সময় শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রোহিনীর রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তা নাহলে দার্জিলিঙের অবস্থা আরও শোচনীয় হত। রাজ্য সরকার, জিটিএ পরিকল্পিত উন্নয়নের ভাবনায় দার্জিলিংকে যানজট মুক্ত করার জন্য কিছুই করছে না। এই অবহেলায় যানজটের পাশাপাশি গাড়ির ধোঁয়ায় দার্জিলিং বায়ু দূষণে জর্জরিত। আগামী দিনে এই দূষণের কারণে দার্জিলিং পর্যটক শূন্য হয়ে পড়তে পারে।
পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা জিটিএ কী করছে?
জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে দার্জিলিং পাহাড়ের প্রধান রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করতে কিছু বাইপাস তৈরি করা হবে। এতে মূল রাস্তায় যানজট দেখা দিলে সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যানজটও কমবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours