মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই আউশগ্রামের জঙ্গল মহলে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আউশগ্রামের বিজেপি (BJP) নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনায় নাম জড়ায় আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখের।
কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা?
আউশগ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে বংশধর গোপ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে মোটর বাইকে করে আমি আউশগ্রাম বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রাস্তায় আটকে বাইক থেকে ফেলে ইমদাদুল শেখের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। পঞ্চায়েত ভোটে আউশগ্রামে বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়নে আমি তদারকি করছিলাম। সেকারণেই পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী গিয়ে ওই বিজেপিকে নেতাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আউশগ্রাম থানা। থানায় খবর গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর চন্দ্রনাথবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনার পর পর পুলিশ ভুলু বাগদি এবং নজরুল খান নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নাই। পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। সুতরাং প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল কেন আক্রমণ করতে যাবে? বরং, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours