Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

সন্দেশখালিতে ক্ষতে প্রলেপ দিতে কী করছে তৃণমূল, জানেন?
Sandeshkhali_(2)
Sandeshkhali_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। যতদিন যাচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়়ছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। পাট্টার রেকর্ড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করছে তৃণমূল। যা নিয়ে সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল? (Sandeshkhali)

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এমন গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে, যাঁরা পাট্টা পাওয়া সত্তেও জমির 'রেকর্ড' করাতে পারেননি। তাঁদের যাতায়াত ও খাওয়া খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল নেতৃত্ব স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে দু'টি কমিটি গড়েছে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।আর স্থানীয় কমিটিতে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি- এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, উত্তম পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মেছোভেড়ি করে মাছ চাষ করতেন। অনেকেরই সেই জমি 'রেকর্ড' হয়নি। অভিযোগ, উত্তম ভূমি দফতরে প্রভাব খাটিয়ে সেই সব জমির 'রেকর্ড' করাতে দেননি। ইজারার টাকাও দেননি। নারায়ণের কথায়, “রেকর্ড করাতে গিয়ে পাট্টাপ্রাপকদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বহু ক্ষেত্রে।" তিনি আরও বলেন, "জেলা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের জমির রেকর্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু'টি ব্লকেই যাব।" সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "গত দু'বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।"

স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাহান বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বার বার সোচ্চার হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। ফলে, পাট্টা পেয়ে জমি দখলে রাখতে পারেননি গ্রামবাসীরা। আর রেকর্ড করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে, শাহজাহান বাহিনীর লোকজন জমি ভোগ করে আসছিল। এতদিন পর হুঁশ ফিরল।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, পাট্টা রেকর্ড করার কথা বলে এলাকাবাসীকে লোভ দেখাচ্ছে। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles