মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ জারি করেছে নবান্ন তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! অথচ শনিবার রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করতে দেখা গেল ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছে রাজ্যের কি তবে হম্বিতম্বিই সার হল? তাদের বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত শপথ রাজভবনেই (Raj Bhavan Kolkata) নিতে হল!
সাধারণভাবে বিধায়কের শপথগ্রহণ বিধানসভাতেই হয়ে থাকে
সাধারণভাবে বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজভবনে হয় না বরং তা বিধানসভাতেই হয়ে থাকে, কিন্তু এমন বিরল ঘটনা এবার এ রাজ্যে চোখে পড়ল। পাশাপাশি রাজভবনে (Raj Bhavan Kolkata) বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়কের পরিবারও। যদিও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর তবুও তা ৩০ সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হল, মাঝখানে শপথ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।
আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়
কেন রাজভবনে শপথ?
রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) তরফে বিধায়ককে চিঠি লিখে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে যে তাদেরকে নাকি এ বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এরপরে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের যুক্তি, নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজবংশী সমাজের এবং তাঁকে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করালে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে। রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) দরজা যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত, সেই বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব। রাজ্যপালের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ নিলেন ২২ দিন পরে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours