মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর ইলন মাস্কের ট্যুইটার কেনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এমন একটি সংস্থা কিনেছেন যা বিশ্বজুড়ে মিথ্যা ও বিদ্বেষ ছড়ায়। আমরা সবাই এখন উদ্বিগ্ন যে শিশুরা ভবিষ্যতে কী ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্রবার তহবিল সংগ্রহের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্যটি করেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণাসূচক মন্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি মনে করেন, ফেসবুক থেকে ট্যুইটার যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
যদিও ট্যুইটার অধিগ্রহণের আগে থেকেই মাস্ক বারবার বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন।পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, ট্যুইটারকে তিনি ডিজিটাল টাউনের অনুরূপ তৈরি করবেন।
টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন অর্থের বিনিময়ে জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি কেনেন। তিনি সম্প্রতি ট্যুইটারেও সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ বিপুল কর্মীদের ছাটাই করেছেন।ট্যুইটারে অধিগ্রহণ করার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭০০ ট্যুইটার কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বিশ্বের ধনী এই শিল্পপতি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়, ট্যুইটার ভুয়া খবরের অভিযোগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) নিষিদ্ধ করেছিল। ইলন মাস্ক প্রাক্তণ রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুনরায় ট্যুইটারে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়াও ট্যুইটারের একাধিক নীতির পরিবর্তন করছেন। এলন মাস্ক বর্তমানে ট্যুইটারে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট টাকার বিনিময়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।প্রতিমাসে ভারতীয় মুদ্রায় ১৬০০ টাকার বিনিময়ে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট দেবার পরিকল্পনা করছে মাস্ক।বর্তমানে যে সমস্ত ট্যুইটার অ্যাকাউন্টগুলো ভেরিফায়েড (Verified Twitter Account) রয়েছে।তাদের সেই ব্লু টিক টিকিয়ে রাখার জন্য ৯০ দিনের সময় দেওয়া হবে। সেই সময় সীমার মধ্যে যদি টাকা না পেমেন্ট করা হয় তাহলে ব্লুটিক (Blue Tick) মুছে দেওয়া হতে পারে। এর আগে ট্যুইটার দেশের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রোফাইলকে ভেরিফায়েড করত। ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকলে সেই অ্যাকাউন্টকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করা হত। ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লুটিক থাকলে তাঁদের ফলোয়ারের সংখ্যাও বাড়ত। তবে সংবাদমাধ্যম আদৌও এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
+ There are no comments
Add yours