Twitter Layoffs: অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবারে ৪৪০০ ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মী’ বরখাস্ত করল ট্যুইটার

Twitter Layoffs: শুধুমাত্র ই-মেল পাঠিয়ে ৫৫০০ জনের মধ্যে ৪৪০০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোনও নোটিশও দেওয়া হয়নি তাঁদের...
GTWVTYFH6VI4FDP4ISD7S5624Y
GTWVTYFH6VI4FDP4ISD7S5624Y

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মী অর্থাৎ সংস্থার প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপরেও। কারণ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সংস্থার স্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করার পর এবারে প্রায় ৪,৪০০ অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন ট্যুইটারের অস্থায়ী কর্মীরা।

চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছাঁটাই

রিপোর্ট অনুযায়ী, মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এবার চুক্তিতে থাকা কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছে (Twitter Layoffs)। এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছেন প্ল্যাটফর্মারের কেসি নিউটন। তিনি লিখেছেন, ‘অস্থায়ী কর্মীদের নোটিশও দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ই-মেল পাঠিয়ে ৫৫০০ জনের মধ্যে ৪৪০০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ম্যানেজাররাও বিষয়টা জানতেন না। সিস্টেমে কর্মীদের না পেয়ে তাঁরা ছাঁটাইয়ের ব্যাপারটা বুঝতে পারেন’। অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও আচমকা বুঝতে পারেন, ট্যুইটারের সিস্টেমে অ্যাক্সেস নেই তাঁদের। এরপর জানতে পারেন, তাঁরা আর কোম্পানির হয়ে কাজ করবেন না।

আরও পড়ুন: ট্যুইটার দেউলিয়ার পথে! নয়া আশঙ্কার মাঝে 'সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা' কাজের আদেশ ইলনের

সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর তারপর ভারতে কর্মীদেরও সরিয়ে ফেলা হয়েছে (Twitter Layoffs)। গণছাঁটাইয়ের মাঝেই সংস্থার কর্মীদরে উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে, বিনামূল্যে খাবার দেওয়া আর হবে না। এমনকি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমও সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ট্যুইটার কর্তা। আবার এসবের মধ্যেই ইলন নিজেই ট্যুইটার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্থার কর্মীদের আরও বেশি করে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

এত কর্মী ছাঁটাইয়ের পর ইলন মাস্ককে এর আগেই সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর এবারে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে (Twitter Layoffs)। পরবর্তীতে আর কী কী করতে চলেছেন ইলন মাস্ক, সেটাই এখন দেখার।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles