মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্ণাটকের শ্রীমাগো শহরে আয়োজিত ৪র্থ আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কানপুরের বাসিন্দা সুমেধা পাল সোনার পদক নিয়ে এল। পাশাপাশি হুগলীর খানাকুলের বাসিন্দা সংগ্রাম হাজরাও সোনার পদক পেয়েছে। পরিবারে তীব্র উচ্ছ্বাস।
কীভাবে সোনা জয় (Howrah)?
জানা গেছে, কর্নাটক স্টেট ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যেগে কর্নাটকের শ্রীমাগো শহরের নেহেরু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৫ ও ৬ অগাষ্ট ৪র্থ আর্ন্তজাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল। প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও আমেরিকা, মালয়েশিয়া, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে ২০ হাজার ২০০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় হাওড়ার (Howrah) কাঁকরাই ক্যারাটে সোসাইটির ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় উদয়নারায়ণপুরের কানপুরের বাসিন্দা সুমেধা পাল ৭ বছর গ্রুপে কাতাতে সোনার পদক পায়। অন্যদিকে হুগলীর খানাকুলের চব্বিশপুরের বাসিন্দা সংগ্রাম হাজরা ১২ বছর গ্রুপে কাতাতে সোনার পদক এবং কুমিতিতে রুপোর পদক পায়।
কোচের বক্তব্য
দুই ছাত্র-ছাত্রীর (Howrah) এই সাফল্যে খুশী কোচ রণজিৎ ধাড়া। তিনি জানান, গত ৪ বছর ধরে ওরা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। একজন কাকরাই ডোজো এবং অপর একজন কানপুর ডোজোতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার পর এরা আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেল।
বাংলায় আগেও পদক এসেছে
এর আগেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলায় একাধিক পুরস্কার এসেছে। গত মে মাসেই আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচ প্রতিযোগী। এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে হারিয়ে পদক জিতে আনেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁচজন প্রতিযোগী ছিলেন ভগবানপুরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অমিত মাইতি, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মৌসুমী গিরি, দশম শ্রেণির পড়ুয়া সুপ্রকাশ আচার্য্য, অর্পিতা দাস ও পল্লবী ভুঁইয়া। তাঁদের এমন সাফল্যে খুশি হয় পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, খুদেদের কৃতিত্বে প্রশিক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তারা আপ্লুত হন। ফের হাওড়া (Howrah) এবং হুগলি জেলা থেকে দুই প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক ছিনিয়ে আনল। তাঁদের সাফল্যে খুশি দুই জেলার বাসিন্দারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours