South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

BJP: ভোটের মুখে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কী হয়েছে জানেন?
South_24_Parganas_(34)
South_24_Parganas_(34)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

আরও পড়ুন: "লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল", বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles