মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশ (Tantrik kills Couple)। প্রতিদিনই প্রায় খুনের খবর সামনে আসছে। আগের দিনের ভয়ঙ্করতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে পরের দিনের ঘটনা। এ যেন এক ভয়ঙ্করতার প্রতযোগীতা। দিল্লি- উত্তরপ্রদেশের পর এবার রাজস্থানের এক হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠল গোটা দেশ। প্রতিশোধ নিতে এক তান্ত্রিক সুপারগ্লু ঢেলে দিল এক মিলনরত যুগলের ওপর। এখানেই থেমে না থেকে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে এবং কুপিয়ে খুন করে ওই তান্ত্রিক।
কী ঘটেছিল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল মিনা (৩২) এবং সোনু কুঁয়ার (৩১) নামের দুই যুবক যুবতী। দুজনেই আলাদা-আলাদা জায়গায় বিবাহিত ছিলেন। দুই পরিবারেরই আস্থা ছিল ভালেশ কুমার নামের এক তান্ত্রিকের ওপর। গত সাত-আট বছর ধরে ৫৫ বছর বয়সি ওই তান্ত্রিক ভাদাবি গুদা এলাকার ইচ্ছাপূর্না শেষনাগ ভাবজি মন্দিরের বাসিন্দা। সেখানেই আলাপ হয় যুগলের (Tantrik kills Couple)। তারপরেই সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: 'ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য', হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা
যুবক যুবতীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। পরিবারের লোকজনকে সে কথা জানিয়ে দিতেই তাকে শ্লীলতাহানির মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন যুবতী। এরপরেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক জঙ্গলে রাহুল এবং সোনুকে ডেকে পাঠায় ভালেশ। সমস্যার সমধান করার নামে যুবক-যুবতীকে তার সামনেই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বলে। তাঁরা সঙ্গমে লিপ্ত হলে তাদের উপর আঠা ঢেলে গলা কেটে কুপিয়ে যুগলকে খুন করে ওই তান্ত্রিক।
ভালেশ দুজনকে এমন ভাবেই খুন করার পরিকল্পনা করে, যাতে খুনের পর সকলে অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে যায়। তাতে তার উপর সন্দেহ হবে না বলে মনে করেছিল সে। সেই মতোই সে দোকান থেকে ৫০ টিউব সুপারগ্লু কিনে আনে। তারপর সমস্ত আঠা একটা বোতলে ঢেলে রাখে ভালেশ (Tantrik kills Couple)। এরপরেই পরিকল্পনার মতো সঙ্গমরত দম্পতির ওপর বোতল থেকে সুপারগ্লু ঢেলে দেয় সে। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক কাজ হয় না। কিন্তু আঠায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর রাহুল এবং সোনু পরস্পরের থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই তাঁদের চামড়া ছিঁড়ে উঠে আসতে শুরু করে। রাহুলের যৌনাঙ্গ তাঁর দেহ থেকে ছিঁড়ে চলে আসে। সোনুরও গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
সেই সময়ই বিপদ বুঝে রাহলের গলার নলি কেটে দেয় ভালেশ (Tantrik kills Couple)। সোনুকেও কুপিয়ে খুন করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ নভেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল ভালেশ। আর তাতেই রাহুলের স্ত্রীকে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরে সে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তবে এই কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও দাবি করেছেন তান্ত্রিক (Tantrik kills Couple)। তাঁর কথায়, “আমি ভুল করেছি। এর জন্য আমার শাস্তিই পাওয়া উচিৎ।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours